বাহক নিউজ় ব্যুরো: বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা বিভীষণ হাঁসদা। বিধানসভা ভোটের আগে প্রায়ই বাংলায় এসে গরিব মানুষের ঘরে খেয়ে যেতেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। এসেছিলেন বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতেও। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হলেও আতিথেয়তায় ত্রুটি রাখননি বিভীষণ। কিন্তুু আজ তাঁর অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য পাচ্ছেন না কারো থেকে। শুধু বিজেপি নয়, তৃণমূলের তরফেও প্রতিশ্রুতি রাখা হচ্ছে না।
জনমজুরের কাজ করে খেয়ে বেঁচে আছে বিভীষণ হাঁসদা ও তাঁর পরিবার। তাঁর স্ত্রী মনিকা হাঁসদা সেদিন অমিত শাহকে নানারকম পদ রান্না করে খাইয়েছিলেন। খাওয়ানোর সময় তাঁদের মেয়ের চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য চেয়েছিলেন বিভীষণ হাঁসদা। অমিত শাহ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। তখন সাহায্যও করা হয়েছিল দুই দলের পক্ষ থেকে। কিন্তুু ভোট মিটতেই সাহায্য আর আসে না।
অমিত শাহের বাংলা সফরে চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে স্থানীয় ও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেন। তখন অমিত শাহ বলেছিলেন দিল্লির এইমসে চিকিৎসা করানো হবে। এরপর বিভীষণ হাঁসদাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে বিজেপি তৃণমূল দুই পক্ষই। বিজেপির সাংসদ সুভাষ সরকার,তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা প্রায়ই আসতেন বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে। কিন্তুু ভোট মিটতেই ছবিটা পাল্টে যায়।
এইমসে নিয়ে আসার পরে এখন সমস্যা বেড়েছে। মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে প্রয়োজন চিকিৎসার জন্য। রক্তের কঠিন অসুখ সারিয়ে সুস্থ জীবনে ফেরার স্বপ্ন দেখছিল বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে। এখন কীভাবে ওই ব্যায়ভার বহন করবেন সেটাই বুঝতে পারছেন না বিভীষণ। অবশ্যই এখনও মাঝেমাঝে খোঁজখবর রাখা চলছে বিজেপি বিধায়ক সুভাষ সরকার ও তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরার তরফ থেকে।
Published on Sunday, 7 November 2021, 12:33 pm | Last Updated on Sunday, 7 November 2021, 12:34 pm by Bahok Desk









