বাহক নিউজ় ব্যুরো: একসময় দিলীপকে বর্ণ পরিচয় উপহার দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এমনটা বলেছিলেন সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বাবুল সুপ্রিয়। এবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে গান গাইতে গিয়ে সব গুলিয়ে ফেললেন। কখনও লাইন, আবার কখনও গোটা একটা স্তবক।

দলবদল করার পরেই যখন দিলীপ বাবুলকে তাঁর রাজনৈতিক নীতি থাকার ব্যাপারে কটাক্ষ করেন তখন বাবুলকে তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করেন। ওইদিন বাবুল বলেন, “ইংরেজিতে রয়েছে থারুরের ইংলিশ। পশ্চিমবঙ্গে আবার দিলীপদার বাংলা। ওঁকে বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় উপহার দেব। যাতে বাংলা ভাষাতেই উনি কথা বলেন, বাংলা ভাষাকে কলঙ্কিত বা কলুষিত না করেন। উনি কটাক্ষ করেছেন। আমি ওঁর বক্তব্য পড়িনি”।

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

এবার, বুধবারে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে নিজেই গুলিয়ে ফেললেন গানের লাইন ও স্তবক। বুধবারে প্রকাশিত হয়েছে জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা। এই উপলক্ষ্যেই আয়োজিত হয়েছিল অনুষ্ঠান। নজরুল মঞ্চে হল অনেককিছুই, অনেক শিল্পীই গাইলেন গান।

এইসবের মাঝে সদ্য তৃণমূলে আসা বাবুল সুপ্রিয় গাইলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কালজয়ী গান “আমি বাংলার গান গাই”। এই গানই গাইতে গিয়ে তিনি কখনও গানের লাইন গুলিয়ে ফেললেন, আবার কখনও স্তবক। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের আসল গানে রয়েছে, “বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা প্রাণের সুখ/ আমি একবার দেখি বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ”। এখানেই তিনি ‘বাংলা প্রাণের সুখ’না গেয়ে বলে ফেললেন ‘বাংলা গানের সুর’।

আরও পড়ুন – পুজোর ছয়দিন আগে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার

এখানেই শেষ নয়, এরপরে তিনি একটি গোটা স্তবকও গুলিয়ে দিলেন। “আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়/ মেশে তেরো নদী, সাত সাগরের জল, গঙ্গায়-পদ্মায়” এই লাইনটি না গেয়ে তিনি সোজা গেয়ে ফেললেন “বাংলা আমার তৃষ্ণার জল দৃপ্ত শেষ চুমুক’। এই লাইনের আগে লেখা ছিল”।