বাহক নিউজ় ব্যুরো: লকডাউনের সময় বেতন পায়নি ফিউচার গ্রুপের বিগবাজারের মতো বিপণির কর্মীরা, গতবছর তাদের কোনো ইনক্রিমেন্ট হয়নি। এরপরও ছাঁটাই হচ্ছে মাঝেমাঝেই। বিগবাজারের কর্মীরা ‘ফিউচার গ্রুপ পার্মানেন্ট এমপ্লয়স ইউনিয়নে’র অধীনে ছিল। ইউনিয়নটির সাথে বিজেপি নেতৃত্বর সংযোগ ছিল। আজ ইউনিয়নটি সরাসরি সিপিআইএমের ট্রেড ইউনিয়ন CITUতে যোগ দিল।
ধর্মতলা,শিয়ালদহ, বারাসাত, বারাসাত ডিসি, লেকমল, হাওড়া অবনি মল, শ্রীরামপুর, কৃষ্ণনগর, খড়্গপুর, নরেন্দ্রপুর মল থেকে বিগবাজারের কর্মীরা আজ শ্রমিক ভবনে এসে ‘সিটু’তে যোগ দেন। শ্রমিক ভবনে উপস্থিত ছিলেন CITU-এর পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক অনাদি সাহু সহ সিটুর অন্যান্য নেতৃত্ব।
কিছুদিন আগেই ফিউচার গ্রুপ চলে এসেছিল রিলায়েন্সের অধীনে। অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী, রিলায়েন্সের হাতে আসবে ফিউচার রিটেলের ১৫৫০টি ও ফিউচার লাইফস্টাইল ফ্যাশনের ৩৫৪টি বিপণি। ফিউচার গ্রুপের মধ্যে রয়েছে বিগ বাজার, এফবিবি, ইজি-ডে, হেরিটেজ ফ্রেশ, ডব্লিউএইচ-স্মিথ, ব্র্যান্ড-ফ্যাক্টরির মতো বড় বিপণি গুলো।
বিগবাজারের কর্মীদের লকডাউনের দুর্দশার কথা কম বেশি সকলেরই জানা। ৮০০০-৯০০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মীরাও গত লকডাউনে মাইনে পাননি। এরপর লগাতার আন্দোলন হয়েছে নানারকম দাবি যেমন ইনক্রিমেন্ট হওয়া বা ছাঁটাই বন্ধ হওয়া নিয়ে। কিন্তুু সুফল মেলেনি। গেরুয়া ঝান্ডা ছেড়ে তাই এবার লাল ঝান্ডার উপরেই ভরসা করলেন বিগবাজারের শ্রমিক সংগঠন।