বাহক নিউজ় ব্যুরো: একের পর এক শিশু ভর্তি হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে। কোন রোগে আক্রান্ত তারা?? কারো জ্বর, কারো পেটখারাপ , কেউ আবার ঘন ঘন বমি করছে। শিশুদের ভিড় জমে গিয়েছে হাসপাতালে।
ম্যালেরিয়া না ডেঙ্গি না করোনা এই নিয়ে এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছেন শিশুদের আভিভাবকরা। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছে ১৩০ জন শিশু, গতকাল সংখ্যাটা ছিল ১২১। শুধু তাই নয় আউটডোরেও অসুস্থ শিশুদের ভীড় উপচে পড়ছে। একসাথে এত শিশুর কেন আচমকা জ্বর হচ্ছে তাই নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা।
তবে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার জানিয়েছেন , বাচ্চাদের তেমন কারো ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বা করোনা ধরা পড়েনি। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। যদিও সূত্রের খবর এক শিশুর দেহে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর একথা অস্বীকার করেছে।
এদিন জেলাশাসক জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন , কথা বলেছেন শিশুদের অভিভাবকদের সাথে। এই মুহূর্তে শিশু ওয়ার্ডে ৪০ টি বেড বাড়ানো হয়েছে এবং ওই হাসপাতালে আরো বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পিকু বা পেডিয়াট্রিক কেয়ার ইউনিটের ব্যবস্থা নেই তাই তিনজন শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এদিন মেডিকেল কলেজ থেকে জেলা হাসপাতালে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসেন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সেই বিশেষজ্ঞ টীমের ডঃ শান্তনু হাজরা জানিয়েছেন , ” আমরা শিশুদের দেখলাম, তাদের বাড়ির আশেপাশের তথ্য থেকে জানতে পারলাম সেখানেও ধূম জ্বর বা অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা রয়েছে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা জাপানি এনকেফেলাইটিস সংক্রমণ ঘটতে পারে। যাবতীয় নমুনা পরীক্ষার জন্য কোলকাতায় পাঠাবার কথা বলা হয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। পাশাপাশি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।”