Table of Contents
Bahok News Bureau : বর্ষবরণের আগে করোনা (Corona Virus) নিয়ে দেশে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। ইতিমধ্যে দেশে ২৬ জনের শরীরে করোনার নতুন উপপ্রজাতি জে এন ওয়ানের (J N 1) উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে কোমর বাঁধতে শুরু করেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকেও প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আসুন জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত।
বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
দেশ এবং বিদেশ সর্বত্র ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফে দুশ্চিন্তা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই দেশে এই সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ২৬ জনের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে গোয়ায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে। মোট ১৯ জন আক্রান্ত গোয়ায়, ৪ জন রাজস্থান, ১ জন করে কেরালা, দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে। ভারত সরকারের ( Govt Of India ) দেওয়া শুক্রবারের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৯৪টি নতুন কোভিড (Covid 19) কেস ধরা পড়েছে সারা দেশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে সারা দেশে কোভিডের কেসের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় ২৩১১ থেকে বেড়ে ২৬৬৯ হয়েছে। দেশে এতদিনে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪.৫০ কোটি। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫,৩৩,৩২৭। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৬ জন। এর মধ্যে তিনজন কেরালার, দুইজন কর্ণাটকের এবং একজন পাঞ্জাবের। স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুর ঘটনাগুলো আবার আতঙ্কের সৃষ্টি করছে সকলের মধ্যে। কর্ণাটক থেকে রাজস্থান, বাংলা থেকে কেরল প্রায় সব জায়গাই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। আবার পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। এদের মধ্যে, বেলভিউতে ভর্তি রয়েছেন ২ জন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ৬ মাসের এক শিশু। অন্যদিকে, আমরি হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় গত ৫ দিনে ৪ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার কি বলছে?
কেন্দ্রীয় সরকারও বলছে, খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। করোনার প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে পর্যালোচনাও করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব সাহায্য দেওয়া হবে। কোনো ধরনের বিধিনিষেধ বা অতিরিক্ত নজরদারির মতো পরিস্থিতি নেই, তবে কেরল ও তামিলনাড়ুর পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। যেখানেই রোগী পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই পরীক্ষা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনাগুলি ল্যাবে পাঠাতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব কি বললেন?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব সুধাংশ পান্ত বলেছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও চিন্তার কিছু নেই। ৯২.৮ শতাংশ রোগীই আছেন হোম আইসোলেশনে। হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়েনি। কেরল, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং কর্নাটকের মতো কিছু রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়েছে, তবে সবক্ষেত্রেই করোনার লক্ষণ তেমন গুরুতর নয়। সুস্থ হয়ে উঠেছেন রোগীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি বলছে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সতর্কতা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনার নয়া প্রতিরূপ জে এন ওয়ানের থেকে আপাতত কোনো বিপদ নেই। এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সতর্ক থাকলেই চলবে, তবে ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরতেই হবে, এছাড়াও বেশি জনবহুল জায়গায় না যাওয়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) নতুন রূপের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পর কর্নাাটক, কেরল এবং তামিলনাড়ুতেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।