
Table of Contents
Bahok News Bureau: বর্তমান যুগে বিভিন্ন উপায়ে সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime) করে মানুষের সাথে আর্থিক প্রতারণার খবর প্রায়শই শোনা যাচ্ছে। কখনো লিঙ্ক পাঠিয়ে, কখনো আবার ওটিপি দিয়ে, আবার কখনো আধারকার্ড ও প্যানকার্ডের তথ্য হাতিয়ে, কখনো বা বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট (Finger Print) চুরি করে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এইসবের মাঝে হঠাৎই শোনা গেলো আরো এক অবাক করার মতো ঘটনা। এবার অশরীরীর দোহাই দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাছ থেকে যাবতীয় সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায়। আসুন জেনে নেওয়া ঠিক কি ঘটেছিল।
ঠিক কি ঘটেছিল?
ওন্দা ব্লকের শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা আমিনুদ্দিন মণ্ডল (Aminuddin Mondal), যিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাঁর রোজগারের অর্থ তিলে তিলে সঞ্চয় করেছিলেন, কিন্তু ‘জিন’-এর কবলে পড়ে সেটুকুও খোয়াতে হলো তাঁকে। আসলে, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে গভীর রাতে একটি অজানা নম্বর থেকে হঠাৎ ফোন আসে আমিনুদ্দিনের কাছে। এত গভীর রাতে ফোন দেখে তিনি অবাক হন। ফোন ধরতেই ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি নিজেকে ‘জিন’ বলে পরিচয় দেয়।
জিন কী বলে আমিনুদ্দিনকে?
আমিনুদ্দিনকে বলে, দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার একটি বিশেষ জায়গায় মণি-মাণিক্য, হিরে-জহরত ও সোনা ভর্তি সাত ঘড়া ধন রাখা আছে। আল্লাহর নির্দেশে ৩৩৬৫ জন জিন সেই সম্পত্তি পাহারা দিচ্ছে। সম্প্রতি, দুষ্কৃতীরা ওই এলাকাটিকে অপবিত্র করে দিচ্ছে। তাই আল্লাহর নির্দেশ দ্রুত সেই সম্পদ সরিয়ে তা তুলে দিতে হবে কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষের হাতে। সেক্ষেত্রে ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসাবে আল্লাহ বেছে নিয়েছেন আমিনুদ্দিনকেই।
এরপর কি ঘটলো?
ফোনে এমন প্রস্তাব শুনে হকচকিয়ে যান ওই ব্যক্তি। এরপর থেকে প্রায়ই মাঝরাতে ফোন আসতে শুরু করে আমিনুদ্দিনের কাছে। শেষ পর্যন্ত আমিনুদ্দিন সেই কথা বিশ্বাস করেন এবং ‘জিন’ নির্দিষ্ট একটি দিনে সেই সম্পদ আমিনুদ্দিনের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানায়, তবে শেষ মুহুর্তে সে বলে, আমিনুদ্দিনের বাড়িতে বাস্তু দোষ রয়েছে, তাই সেই সম্পদ পৌঁছনো যাচ্ছে না। বাস্তু দোষ কাটাতে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার পালনের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ধাপে ধাপে আমিনুদ্দিনকে অনলাইনে টাকা (Online Money) দেওয়ার কথা বলে ওই জিন। এমনকী আমিনুদ্দিনকে ধর্মের ভয়ও দেখানো হয় (cyber crime Bankura)।
আমিনুদ্দিন কি বলেন?
আমিনুদ্দিনের দাবি, প্রথমে জিনের প্রলোভনে পা দিয়ে এবং পরবর্তীতে ভয়ে ধার দেনা করে ধাপে ধাপে মোট ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫০০ টাকা ওই জিনকে পাঠান তিনি। এরপর আমিনুদ্দিন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন (cyber crime bankura)। তখনই তিনি বাঁকুড়া (Bankura) সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। এখন দেখার বিষয় অপরাধী শেষপর্যন্ত ধরা পড়ে কি না।
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।