Table of Contents
Bahok News Bureau: এবার কলকাতাতেও ঠিক বেনারসের মতোই আয়োজিত হতে চলেছে দেব দীপাবলি উৎসব। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) উদ্যোগে ধুমধাম করে পালন করা হবে ‘দেব দীপাবলি’। চলতি বছরের ২৬ ও ২৭শে নভেম্বর বাজে কদমতলা ঘাটে হবে উদযাপন। জ্বালানো হবে মাটির প্রদীপ, বানানো হবে রঙ্গোলি। গঙ্গাবক্ষে হবে আতসবাজির প্রদর্শনী। বৃন্দাবন থেকে আনা হচ্ছে ভক্তিমূলক সঙ্গীতশিল্পীকে। এই উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁর আমন্ত্রণপত্রটি নবান্নে পাঠানো হয়। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগদান না করলেও, মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এই উৎসবের সূচনা করবেন বলে জানানো হয়েছে।
দেব দীপাবলি কী?
দীপাবলির ১৫ দিন পরে পালিত হয় দেব দীপাবলি (Dev Diwali)। দেব দীপাবলি কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে পড়ে। এই বছর দেব দীপাবলি খুবই শুভ। এই দিনে তিনটি শুভ যোগ এর সংযোগ ঘটছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই শুভ দিনে পবিত্র শহর কাশীতে সমস্ত দেব-দেবীদের আগমন ঘটে। তাঁরা সকলে মিলে দীপাবলি উৎসব উদযাপন করেন। এই বিশেষ দিনে বারাণসীর প্রতিটা ঘাট প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠে।
দেব দীপাবলি পালিত হয় কেন?
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ত্রিপুরাসুর নামক রাক্ষসের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সকল দেব-দেবী, ভগবান শিবের শরণাপন্ন হন। এরপরেই মহাদেব, ত্রিপুরাসুরকে বধ করেন। তাঁর এই জয় উদযাপন করার জন্যই বারাণসীতে প্রচুর প্রদীপ জ্বালিয়ে শিবের পুজো করেন। সেই থেকে প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমায় গঙ্গার ঘাটে দেব দীপাবলি উদযাপনের রীতি শুরু হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, কার্তিক পূর্ণিমায় দেবতারা পৃথিবীতে আসেন। তারপর থেকেই প্রতি বছর দেব দীপাবলির উৎসব উদযাপনের ধারা চলে আসছে। এই উৎসব আবার ত্রিপুরা উৎসব অথবা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।
রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব
এই উদযাপন ঘিরে ইতিমধ্যে অনেক প্রশ্ন উঠছে। কয়েক মাস পরেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই হঠাৎ কেন ‘দেব দীপাবলির’ উদযাপন? হিন্দিভাষী ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা সেই নিয়েও কথা ওঠে। কলকাতা (Kolkata) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বিজয় উপাধ্যায় বলেন, “এটা কোনো হিন্দিভাষী ভোটকেন্দ্রিক উদ্যোগ নয়। দিদিমণি তো বলেইছেন যে, উৎসব সকলের।” বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে এই উদযাপনের খরচ কোথা থেকে আসছে। এর উত্তরে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, “হিন্দুদের জন্য কার্তিক মাস পুণ্যের মাস। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কার্তিম মাসে আমারও তো প্রদীপ জ্বালাই! খরচ নির্দিষ্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।” কলকাতা (Kolkata) পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের বক্তব্য, “ট্রাস্টের কথা আসলে আইওয়াশ। রাস্তা নেই, আলো নেই, দেব দীপাবলিতে খরচ করছে। আসলে মোদিজি রামমন্দির করছেন। তৃণমূল ভোটের জন্য এসব করছে।” তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।