বাহক নিউজ় ব্যুরো: এবার মৃত কর্মীর মেয়ে ‘ডিভোর্সি’ হলে পাবে না কমপ্যাশনেট চাকরি, এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিল কর্ণাটকের একটি মামলাকে কেন্দ্র করে। এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ। এই মামলাটিকে কেন্দ্র করে কর্ণাটক হাইকোর্ট আবেদনকারীর পক্ষে রায় দেয়, কিন্তু পরে সুপ্রিম কোর্টে ওই রায়ের বিপরীত রায় অর্থাৎ আবেদনকারীর বিপক্ষে রায় দেয়।
কর্ণাটক সরকারের মান্ডিয়া জেলার কোষাগারে সেকেন্ড ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করতেন আবেদনকারীর মা। আবেদনকারীর মা মারা যাওয়ার পরে, আবেদনকারী চাকরির জন্য দরখাস্ত দেন। কিন্তু, কর্ণাটক সিভিল সার্ভিস আইন ১৯৯৬-এর ভিত্তিতে তাঁর দরখাস্ত খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপরে তিনি কর্ণাটক হাইকোর্টে এই প্রসঙ্গে মামলা করেন। তখন কর্ণাটক হাইকোর্ট কর্ণাটক সিভিল সার্ভিস আইন ১৯৯৬-এর রুল নং ৩-এর ভিত্তিতে রায় দেয় যে, ‘ডিভোর্সি’ মেয়ে বিধবা বা অবিবাহিত মেয়েদের তালিকাভুক্ত।
কিন্তু, এই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করে এবং রায় দেয়, যে সমস্ত অবিবাহিত বা বিধবা মেয়েরা মৃত কর্মীর মৃত্যুর শেষকাল পর্যন্ত তাঁর ওপরে নির্ভরশীল ছিল, শুধুমাত্র তাঁরাই ‘কমপ্যাশনেট’ চাকরির সুবিধাটি পাবে, ‘ডিভোর্সি’ মেয়েরা নয়। এমনকি, সরকারি কর্মী মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে নির্ভরশীল মেয়ে থাকতো কিনা, সেটাও ভালো করে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের এই মামলার ক্ষেত্রে আবেদনকারী তাঁর মা মারা যাওয়ার আগে থেকে ডিভোর্সি ছিলেন না, বিবাহিত ছিলেন। মহিলা সরকারি কর্মী মারা যাওয়ার পরে ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেছেন। এহেন, আদালত সন্দেহ করেছে যে, শুধুমাত্র চাকরিটা পাওয়ার জন্যেই ডিভোর্সের মামলাটি করা হয়েছে এবং এই বিশেষ রায়টি দেন।