বাহক নিউজ় ব্যুরো: শুক্রবার দলের বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় বৈঠক করে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর সুকান্ত মজুমদারের প্রথমবার পরিষদীয় বৈঠক ছিল এটি। এই বৈঠকে রাজ্য বিজেপি কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটি সমন্ধে বললেন সুকান্ত। বিধানসভায় গুরুদায়িত্ব পালন করবেন শুভেন্দু, আর বিধানসভার বাইরেটা সামলাবেন সুকান্ত আর সবার ওপরে থাকবেন দিলীপ ঘোষ।
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী সহ ৬৪ জন বিধায়ক যোগ দিয়েছিলেন এই বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন না ৬ বিধায়ক। তাঁরা হলেন সুকুমার রায়, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, নীরজ জিম্বা, হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং দিবাকর ঘরামি। এঁরা অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন।
বিধানসভা ভোটের পর বেশ কয়েকজন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিধায়করা যদি দল ছেড়ে যান, তাহলে তাঁরা ভাববেন না যে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব।” রাজ্য সভাপতি সুকান্ত উপস্থিত বিধায়কদের উদ্দ্যেশে বলেন, “বিধানসভার বাইরে আমি আর ভিতরে শুভেন্দু অধিকারী। আর সবার ওপরে রয়েছেন দিলীপ দা। এভাবেই আমাদের এগোতে হবে।”
আরও পড়ুন – আস্ত রাস্তা গেল চুরি! ‘বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে’, শাসকদলের প্রতি হুঁশিয়ারি বিজেপির
গত কয়েক সপ্তাহে দল সম্পর্কে বেসুরো হয়ে কয়েকজন নেতা দল ছাড়তে চেয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সুকান্ত তাঁদের সঙ্গে সামনাসামনি বসে কথা বলতে চান, এদিনের বৈঠকে জানালেন এমনটাই।
বৈঠকের পর সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদেরকে বলেন, “আমাদের বিশ্বাস যারা ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি ও আদর্শ নিয়ে দলে এসেছেন, তাঁরা অবশ্যই থাকবেন। যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছেন, আমি অনুরোধ করছি তাঁরা পারলে ফিরে আসুন।” একইসঙ্গে ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে যারা দল ছেড়েছেন তাঁদেরকে কটাক্ষও করেন সুকান্ত। নতুন রাজ্য সভাপতি বলেন, “ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে বেশি দিন বাঁচা যায় না, বৃহত্তর স্বার্থে বাঁচতে হয়।”