Bahok News Bureau: প্রতি বছর ১১ই নভেম্বর পালিত হয় জাতীয় শিক্ষা দিবস (National Education Day)। ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের (Maulana Abul Kalam Azad) জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর এই দিনটি পালিত হয়। এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের উৎসর্গের কথা মাথায় রেখে ২০০৮ সালের ১১ই নভেম্বর মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তাঁর জন্মদিনটিকে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই মানুষটির সম্পর্কে কিছু কথা। মৌলানা আবুল কামাল আজাদ স্বাধীনতার আগে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি একজন লেখক, পণ্ডিত, বিখ্যাত শিক্ষাবিদ এবং জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন।

স্বাধীনতার পর তাঁকে দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী করা হয়। তিনি ছিলেন দেশের বিশিষ্ট স্থপতিদের একজন। তিনি এআইসিটিই অর্থাৎ অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন এবং অনেক অনুরূপ প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রীসভায় ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করেছিলেন। তিনি ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি সর্বদা মেয়েদের শিক্ষা ও ১৪ বছরের কম বয়সী সকল শিশুর জন্য বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার প্রতি জোড় দিতেন।

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

তিনি প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানে উৎসাহ দিতেন। তিনি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হলে দেশে দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা থাকবে না। তিনি সর্বদা শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি শিক্ষাব্যবস্থাকে যতটা শক্তিশালী করা যায়, ততটা শক্তিশালী করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। প্রতি বছর এই দিনের একটি নির্দিষ্টি থিম থাকে। এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, উদ্ভাবনকে আলিঙ্গন করা। এই থিমটি পঠন পাঠনের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে উৎসাহিত করবে। এই দিনটিতে জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী নেতা মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে সমগ্র দেশবাসী স্মরণ করেন।

প্রতি বছর ১১ই নভেম্বর সকল স্কুল কলেজে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, বক্তৃতা, প্রবন্ধ লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই দিনে ছাত্র-শিক্ষক একসঙ্গে পড়াশোনা ও শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এই দিনে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা সাক্ষরতার গুরুত্ব এবং শিক্ষার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তাদের মতামত ভাগ করে নেয়। এভাবেই এই বিশেষ দিনটি পালিত হয়। ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের অবদান অপরিসীম। ইউজিসি, অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং আইআইটি খড়গপুর সেকেন্ডারি স্কুল বোর্ড তাঁর আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯২ সালে আজাদকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল। ১৯৫৮ সালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন: কৃত্রিম বৃষ্টি কি পারবে দিল্লির বায়ু দূষণের মোকাবিলা করতে? চলছে কৃত্রিমভাবে মেঘ তৈরির প্রস্তুতি, জানুন বিস্তারিত

আরও পড়ুন: এবার কেজরিওয়াল সরকার নিল বড়ো সিদ্ধান্ত! জোড় বিজোড় নিয়ম স্থগিত! কি বললেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই? জানুন বিস্তারিত

পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩

পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯ 

PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩

ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।

এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।

[PDF] বাহক শারদীয়া সংখ্যা (১৪২৮)

[PDF] বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন (১৪২৯)