
Bahok News Bureau: সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ‘প্যাসেঞ্জার্স’ অভিনেত্রী জে জেনিফার লরেন্স (Jennifer Lawrence)। তিনি জানালেন এক বিশেষ কারণে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ওপর তিনি প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ। আর সেই ক্ষোভ তিনি প্রকাশ করলেন ‘ভোগ'(Vogue)-এর সাক্ষাৎকারে। তাঁর দাবি, ট্রাম্পের জয় তাঁর পরিবারে ফাটল ধরিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Who founded Digha? : ‘দীঘা’র প্রতিষ্ঠাতা কে?, দীঘার কথা ইতিহাসের পাতায়- প্রথম পর্ব
‘দ্য হাঙ্গার গেম’ (The Hunger Game) নায়িকা জেনিফার লরেন্সের এই মন্তব্য ২০১৬ সালের আমেরিকার (America) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে (Presidential Election in 2016)কেন্দ্র করে। তাঁর দাবি, ওই নির্বাচন তাঁর পরিবারে ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল এবং তাঁকে তাঁর পরিবার থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। তাঁর কথায়, “আমেরিকায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও মানুষকে রাজনৈতিক হতে হয়। আর ঠিক এই কারণেই, রাজনৈতিক মতভেদকে একপাশে করে দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। যার ফলাফল ভয়ানক হয়”। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর এই অভিজ্ঞতা হয়েছে মূলত ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করেই।
তিনি বলেন, “আমি মূলত চাইতাম যে, হিলারি ক্লিনটন (Hillary Clinton) প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন জিতুক। কিন্তু আমি বাদে আমার পুরো পরিবার চাইতো যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতুক। আমার পরিবারের ইচ্ছাই যদিও পূরণ হয়। কিন্তু, এই রাজনৈতিক মতভেদ আমাদের পরিবারে এক অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল। আর ঠিক এই কারণেই আমার আর পরিবারের দূরত্ব বেশ বেড়ে গেছিল। এরপরে, আমার আর আমার বাবার সম্পর্ক ঠিক করতে বিগত ৫ বছরে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল, যা প্রভাবিত হয়েছিল বিতর্কিত ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলের কারণে”। তাঁর আরও সংযোজন, “রাজনীতি মানুষকে শেষ করে দিচ্ছে”।
আরও পড়ুন: অর্থ বড়ই শস্তা, কেটে ছড়িয়ে দিলে পারত!
জেনিফার লরেন্স মূলত কেনটাকির (Kentucky) লুইভেলির (Louisville) বাসিন্দা। এই লুইভেলিরই এক রক্ষণশীল পরিবারে (Conservative family) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি নিজের রাজনৈতিক মতামত পেশ করা খুবই সমস্যার মনে করেছিলেন। কারণ, সেখানের বাসিন্দাদের জীবনশৈলী অনেক আলাদা এবং সেখানে সমস্ত তথ্যও সঠিকভাবে পৌঁছায় না। যার ফলে, তিনি কেন ট্রাম্পের বিরোধিতা করছেন, সেটা তিনি বুঝিয়ে উঠতে পারনেনি। তাঁর সমস্ত দলিলই ব্যর্থ হয়েছিল তাঁর পরিবারের জেদের কাছে। জেনিফার যদিও জানান যে, তিনি হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু, পরিবারের বিপরীতে যাওয়ার তাঁর এই সিদ্ধান্ত তাঁর আর তাঁর পরিবারের মধ্যে ব্যবধান অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল।