আমরা দেখেছি গুরুপূর্নিমায় সাধারন মানুষ যারা কিছু না কিছুর সাথে যুক্ত, তাঁরা থেকে শুরু করে বড়ো বড়ো শিল্পীরা পর্যন্ত নিজের গুরুদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন।
বরাবরই নিজেকে সোশাল মিডিয়ার থেকে দূরে রাখতেই বেশি পছন্দ করেন অরিজিৎ সিং। তাই অন্যান্য শিল্পীর মতো খুব বেশি সোশাল মিডিয়ায় এক্টিভও থাকেন না তিনি। অরিজিৎ বরাবর নিজের কাজ নিয়ে আর নিজের পরিবারের সাথেই সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু, গুরুপূর্নিমার দিন নিজের মায়ের সঙ্গে বেশ কিছু মূহুর্তের ছবি সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন তিনি। গুরুপূর্নিমার দিন নিজের গুরুমার ছবি এভাবেই সবার সামনে আনেন গায়ক আরিজিৎ সিং।
মাত্র ২মাস আগেই তিনি হারিয়েছেন তার মা কে। মৃত্যু কালে তাঁর মায়ের বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। অরিজিতের মা অদিতি সিং এর প্রথমে কোভিড ধরা পড়ে তারপর কোভিড থেকে সুস্থ হবার পরও শারীরিক সুস্থতা না থাকায় হাসপাতালেই ভর্তি থাকেন তিনি। কিছুদিন পর শারিরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং রক্তের প্রয়োজন হয়, তখন সোশাল মিডিয়ায় রক্তের জন্য সাহায্যও চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও বাঁচাতে পারেননি মা কে। বেশ কিছু অঙ্গ বিকল হয়ে মারা গিয়েছিলেন।
আরিজিৎ সিং এর গানের পথ শুরু হয়েছিল টেলিভিশন চ্যানেলের একটি শো দিয়ে। তখন থেকেই তার সর্বক্ষনের সঙ্গী ছিলেন তার মা। পরে তিনি মুম্বাইয়ে থাকলেও তাঁর বাবা মা যদিও গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন।
এভাবে অকালে মায়ের মৃত্যুর পর বহরমপুর হাসপাতালে ভেন্টিলেটর প্রদান করেন গায়ক অরিজিৎ সিং।