বাহক নিউজ় ব্যুরো: হঠাৎই গোটা বিশ্ব জুড়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম পরিষেবা। নেটিজেনরা ভারতীয় সময় রাত ৯টা থেকে এরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।অবশেষে প্রায় ছয় ঘন্টা পর ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইন্সটাগ্রাম পরিষেবা চালু হল।
ভারতে ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ৪১০ মিলিয়ন। হোয়াটসঅ্যাপ করেন ৫৩০ মিলিয়ন মানুষ। ইনস্টাগ্রাম করেন ২১০ মিনিয়ন মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনটি অ্যাপই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ডেক্সটপ বা মোবাইল কোনো কিছু থেকেই খুলতে পারছিলেন না ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম। এই তিনটি অ্যাপই নিয়ন্ত্রণ করে ফেসবুক। ফেসবুকের তরফে লিখিত বিবৃতি দিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার করা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “কিছু সমস্যা হয়েছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত৷ আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এবং যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে৷”
টুইট করা হয় হোয়াটসঅ্যাপের তরফেও।বলা হয়েছিল, “হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে যে অনেকে সমস্যায় পড়ছেন, সে বিষয়ে আমরা অবহিত৷ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি৷ পরিষেবা ঠিক হলেই নোটিফিকেশন পাঠানো হবে৷”
মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার পরিষেবা চালু ছিল তাই সেখানেই সমস্ত অভিযোগ জানাচ্ছিলেন নেটিজেনরা। প্রায় কুড়ি হাজার জন জনপ্রিয় তিনটে অ্যাপের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন৷
রাত তিনটে নাগাদ ফের চালু হল ফেসবুক পরিষেবা। এরপর ইন্সটাগ্রাম। রাত চারটে নাগাদ চালু হল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। জনপ্রিয় তিনটি অ্যাপ ফের চালু হতে স্বস্তি ফেরে নেটিজেনদের।
কিন্তুু কেন হল এরকম সমস্যা? কোনো দেশের ইন্টারনেট সমস্যা কি এই ঘটনার জন্য দায়ী? নেটব্লক্স নামে একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কোনও দেশের ইন্টারনেট সমস্যার কারণে এটি হয়নি, ঠিক কি কারণে এরকমটা হয়েছিল এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। ডিএনএস সার্ভার ডাউন হওয়ার কারণে এরকমটা হতে পারে।