গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর উদ্বেগ নিয়ে কলম ধরেছেন পাপিয়া।
(এই সেকশনে লেখার দায় ও চিন্তাভাবনার দায় একান্ত লেখক/লেখিকার।)
26শে এপ্রিল , 1986 , ঘড়িতে তখন 1টা বেজে 23 মিনিট 40 সেকেন্ড , চেরনোবিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের 4নং চুল্লিতে বিস্ফোরণ । মাত্র দুই দিনের মধ্যে বিপজ্জনক বিকিরণ থেকে বাঁচার জন্য চেরনোবিল শহর পুরো খালি করা হলো । প্রায় 50 হাজার মানুষের ইউক্রেনের এই সুন্দর, স্বচ্ছল শহরটি এই দুই দিনের মধ্যেই শ্মশানের নিস্তব্ধতায় পরিণত হল । এই দুর্ঘটনাটি ছিল নিছকই পরিকল্পনার অভাবে মনুষ্যসৃষ্ট তাৎক্ষণিক অবস্থা , যার ভয়াবহতা অকল্পনীয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে ।
চেরনোবিলের বিপর্যয় ছিল তাৎক্ষণিক কিন্তু আমরা বর্তমান সময়ে ক্রমাগত মোড়ক খুলে আসা যে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছি , তা আপাতভাবে চোখে ধরা না পড়লেও , নিকট ভবিষ্যতে তার প্রভাব হতে চলেছে নিয়ন্ত্রণাতীত । জীবন্ত এই পৃথিবী জীববৈচিত্র্যে ভরপুর , সবুজ উদ্ভিদ থেকে শুরু করে সমস্ত জীবকূল খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে একে অপরের উপর নির্ভরশীল । কিন্তু জীববৈচিত্র্যের আজ ধ্বংসসাধন শুরু হয়েছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণে , যা পুরোপুরিই মনুষ্যসৃষ্ট ।যার অন্যতম ফলাফল হল মেরুদেশের বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলবর্তী দেশগুলি নিমজ্জন । যেমনটা আমরা দেখতে পাই ফিজিতে উপকূল জলের তলায় চলে যাওয়ার ঘটনায়।
ঠিক যেভাবে মানুষের ভুলে চেরনোবিল হয়ে গিয়েছিল প্রাণহীন ; একইভাবে সমগ্র পৃথিবী হয়ে উঠবে বসবাসের অযোগ্য মানবজাতিসহ সমস্ত প্রাণীকুলের জন্য , একইভাবে মানুষের ভুলে এবং পরিকল্পনার অভাবে ।