মেদহীন সুন্দর ফিগার কে না চায়? কিন্তু সবসময় সবার পক্ষে এই মেদহীন শরীর পাওয়া সম্ভব হয় না। বিশেষ করে পেটের মেদ বা ভূঁড়ি কমাতে নাজেহাল হয়ে পড়েন আনেকেই।
এমন অনেকেই আছেন যারা ডায়েট কন্ট্রোল করেন বা নিয়মিত ওয়ার্কআউট ও করেন কিন্তু তাও নিজেদের ফিগার ঠিক রাখতে পারেন না। তাহলে আপনি জেনে নিন যে, আপনার কোন ভুলগুলির জন্য আপনি পেটের মেদ কমাতে পারছেন না।
অনেক সময় আমরা মেদহীন চেহারা পাওয়ার আশায় একদমই খাওয়া দাওয়া করি না। তাই শরীর তার সঠিক পুষ্টিও পায় না। এই ভাবে খাবার না খাওয়ার কারনে ওজন হয়তো কমে যায় কিন্তু আমরা আমাদের শরিরের ফিটনেস হারিয়ে ফেলি। এতে ভুড়ি কমানো আরও কষ্টকর হয়ে পড়ে। উপায়গুলো দেখা যাক।
(১)মদ্যপান করা-
পেটের মেদ না ঝরার অন্যতম কারণ হলো মদ্যপান। মদ্যপান করলে আমাদের শরিরের হজম শক্তি হারিয়ে যায়, ফলে খাবার ঠিক ঠাক হজম হয় না ফলে মেদ তো ঝরেই না আরও বেশি বৃদ্ধি পায়।
(২)মানসিক চাপ-
গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপ থাকলে পেটের মেদ কমে না, তাই মানসিক চাপ থাকলে আগে তা থেকে বেরিয়ে আশার চেষ্টা করুন। কারন মানসিক চাপ থাকলে শরীরে হরমোন ক্ষরন বেড়ে যায়। এই হরমন শরিরের মেটাবলিজম পক্রিয়া কে কমিয়ে দেয় ফলে মেদ বাড়তে থাকে।
(৩)ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা –
ফাস্টফুড যেমন পাউরুটি, চিপস, পরিশোধিত চিনি, চাউমিন ইত্যাদি বেশি পরিমানে খেলে মেদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
(৪)শরীর অনুপাতে ব্যায়াম –
ওজন কমানোর জন্য আপনি হয়তো ব্যায়াম করছেন। কিন্তু আপনার শরীর অনুপাতে কতটুকু প্রয়োজন তা হয়তো করছেন না। এই জন্যও আপনার পেটের মেদ নাও কমতে পারে। ওজোন কমানোর জন্য ঘাম ঝরানো খুবই উপকারী কিন্তু তা যেন হয় সঠিক পদ্ধতিতে। ভুল ওয়ার্কআউট করলে ক্ষতি বেশি হয়। এতে মেদ ঝরানো খুবই কষ্টকর।
(৫) পর্যাপ্ত ঘুম-
গবেষণায় দেখা গেছে যারা ৪-৫ ঘন্টার কম ঘুমায় তাদের মেদ সহজে ঝরে না। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো জরুরি।
তাই আপনিও যদি এই ভুল গুলি করে থাকেন তাহলে আজই শুধরে নিন। শরীর ফিট রাখুন।