বাহক নিউজ় ব্যুরো: বাংলাদেশের হিংসাত্মক ঘটনাগুলোর রেশ এখনও কাটেনি। এরপরই মধ্যে ত্রিপুরায় প্রতিবাদের নামে পাল্টা তাণ্ডব চালাল কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ছয়টি মসজিদ ভাঙা হল, ভাঙা হয়েছে কিছু ঘর-বাড়ি।
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলাটি ত্রিপুরার সীমান্তে অবস্থিত।ফলে সেখানে উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমনটা আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। হল ঠিক সেরকমই। সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর নেমে এল অত্যাচার। ত্রিপুরার সংখ্যালঘু মানুষদের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ত্রিপুরার শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে।
ত্রিপুরার একটি সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিনিধি দল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কাছে এবং পুলিশের ডিজির কাছে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে। মসজিদ,বাড়ি ভাঙল যারা, তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন তারা।
আগরতলার গেদু মিয়া মসজিদে ওই সংগঠনের সভাপতি মুফতি তায়েবউর রহমান জানান, “ত্রিপুরার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউ বাংলাদেশে এই ধরনের সহিংসতা সমর্থন করে না। আমরা এর প্রতিবাদও করেছি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু মসজিদ এবং আবাসিক এলাকায় হামলা হয়েছে। বেশিরভাগ হামলাই ত্রিপুরার পশ্চিম, উত্তর এবং গোমতি জেলায় হয়েছে।”
‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে দেখা যায় একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে। ওই মিছিল থেকে বেরিয়ে ছয়টি মসজিদে হামলা ও বেশ কিছু সংখ্যালঘু পরিবারের ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।