
Table of Contents
Bahok News Bureau: সব ধরনের দাসত্বের বিলুপ্তির দিন আজ (International Day for the Abolition Of Slavery 2023)। ১৯৮৬ সালে ২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা দাসত্ব বিলোপের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আধুনিক কালের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল জোরপূর্বক শ্রম এবং মানব পাচার। এই সমস্যাগুলি অনেক দেশেকে আজও মানবাধিকার দিক থেকে প্রভাবিত করে।
আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস কেন পালিত হয়? (Why International Day for the Abolition Of Slavery is celebrated?)
এই দিনে সামাজিক সংগঠন, সরকার এবং সমাজের ব্যক্তিরা একত্রিত হয় যে কোনও ধরনের দাসপ্রথার জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। ২ ডিসেম্বর দিনটি আমাদের বর্ণবাদ, দাসপ্রথা এবং সামাজিক নিপীড়নের অন্ধকার অতীতের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। এই দিবস পালিত হয় তাদের জন্য যারা দাসত্বের আধুনিক ‘দাসত্ব’-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন ব্যক্তি পাচার, যৌন শোষণ, শিশু শ্রমের সবচেয়ে গুরুতর রূপ, জোরপূর্বক বিবাহ এবং সশস্ত্র বাহিনীতে শিশুদের নিযুক্তিকরণ এই তালিকায় পড়ে।
আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস কত তারিখে? (International Day for the Abolition Of Slavery date)
১৯৪৯ সালের এই দিনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দাসত্ব বিলোপ করতে বিশ্বব্যাপী দাস প্রথা ও ব্যবসা নিষিদ্ধকরণের উপর কনভেনশন গৃহীত হয়। এজন্য দিনটি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলুপ্তি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

দাসত্ব বিলোপের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস পালনের গুরুত্ব: (Importance of International Day for the Abolition Of Slavery)
দাসত্ব বিলোপের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস পালনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এই দিনটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। এই দিবস আধুনিক দিনের দাসত্ব মোকাবেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ। যাইহোক, বাস্তবে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫০ মিলিয়ন শিশু শ্রমে নিযুক্ত রয়েছে। এই অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সোচ্চার হয়েছে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০ মিলিয়ন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্কেরা। এই দিনে অনেক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয় এবং লোকেরা আধুনিক সমাজে যেকোনো ধরনের দাসত্ব বা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার সম্ভাব্য উপায়গুলি অন্বেষণ করে।
এই দিনে অ্যাক্টিভিস্ট এবং সমাজকর্মীরা দাস ব্যবসার ঐতিহাসিক ভুল, এটি কীভাবে বিকশিত হয়েছিল এবং যে কোনও ধরনের দাসত্বের অবসান ঘটাতে কী করা যেতে পারে সে সম্পর্কে মানুষকে আলোকিত করে। আধুনিক দাসত্ব, যেমন জোরপূর্বক শ্রম এবং মানব পাচার, যৌন দাস, জবরদস্তিমূলক শিশুশ্রম, বলপ্রয়োগে বিয়ে, যুদ্ধে শিশুদের ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা বাড়ানো এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। সংশ্লিষ্টরা জানান, আধুনিক বিশ্বে আগের মতো সরাসরি দাস ব্যবসা না থাকলেও মানব পাচার অব্যাহত রয়েছে, যা আজও অনেক দেশে মানবাধিকারকে প্রভাবিত করে। এমন একটি জটিল সমস্যা।

দাসপ্রথার বিস্তার ও বিলোপের ইতিহাস: (History of International Day for the Abolition Of Slavery)
প্রাচীন দাসপ্রথাটি এখনো বিভিন্ন নামে ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীতে এবং বিভিন্ন পরিবারে। মানবসভ্যতার ইতিহাস অনুযায়ী, খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ থেকে ৩০০০ সালে মেসোপটেমিয়ায় প্রথম ক্রীতদাস প্রথা চালু হয়। এর হাজারখানেক বছর পর থেকে এই প্রথা মিসর হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ভারতবর্ষে। মিশরের গ্রেট পিরামিডের মতো সুবিশাল স্থাপত্যও তৈরি করা হয় দাসদের কাজে লাগিয়েই। এর অনেক পরে চীনে এই কু-প্রথাটি জেঁকে বসে। পিরামিডের মতোই চীনের মহাপ্রাচীরও নির্মিত দাসদের ঘাম, রক্ত ও কষ্টের ইতিহাস দিয়েই। ৮০০ হতে ৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিস এবং ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমে শুরু হয় ক্রীতদাস প্রথার মারাত্মক বিস্তার। এভাবে প্রায় বিশ্বজুড়েই একসময় ছড়িয়ে পড়ে এই ভয়াবহ কু-প্রথাটি।
আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস ২০২৩–এর থিম: (International Day for the Abolition Of Slavery 2023 Theme)
দাসত্ব বিলোপের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৩–এর থিম হল ‘রূপান্তরমূলক শিক্ষার মাধ্যমে দাসত্বের উত্তরাধিকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা’ এবং এটি ট্রান্স আটলান্টিক দাস বাণিজ্যের বর্ণবাদের উত্তরাধিকারের অব্যাহত প্রভাবের উপর জোর দেয়। এই ধরনের পক্ষপাতিত্ব, কুসংস্কারগুলি অবদান রেখে চলেছে বিশ্বব্যাপী। এ ধরনের কাজ বিশেষ করে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষদের প্রভাবিত করেছে। এ বছরের থিমের লক্ষ্য,” শিক্ষার মাধ্যমে সব ধরনের দাসত্বের অবসান ঘটানো।”
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।