বাহক নিউজ় ব্যুরো: যে কীর্তি এতোদিন ছিল ভারত কন্যা মিতালি রাজ এর নামে, তা এবার নব কলেবরে রচনা করলেন আয়ার্ল্যান্ড এর এমি হান্টার। কেভিন ও’ব্রায়েন, নায়েল ও’ব্রায়েন, মর্গান এর দেশের মেয়ে এমি ছোট থেকেই লেখাপড়ায় মেধাবী, তবে আইরিশ স্ট্রিট ক্রিকেট তাঁকে টানত বেশি। সেই সূত্রেই ডাবলিন ক্রিকেট ক্লাবে এমির যাতায়াত শুরু। প্রিয় তারকা এম এস ধোনী আর ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল। তাদের ভিডিও দেখে কলাকৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করত। সেকেন্ডারি স্কুল পেরিয়েই জাতীয় দলে ডাক পান। ব্যাট হাতে কখনো নিরাশ করেননি দর্শকদের। স্ট্রেট ড্রাইভ আর পুল শট তাঁর ভীষণ পছন্দের।
ভারতীয় ক্লাসিকাল সঙ্গীতপ্রেমী, বিজ্ঞাণের ছাত্রী এমি নিয়মিত মাঠে অনুশীলন চালান। এদিন তাঁর প্রস্তুতির ফল মিলল হারারে ময়দানে। জিম্বাবুয়ে বনাম আয়ার্ল্যান্ড ম্যাচ ছিল। তাতে ব্যাট হাতে দুর্ধর্ষ রণংদেহী ‘শিকারী’র ভূমিকায় দেখা গেল এমিকে। স্ট্রাইকরেটও যথেষ্ট ভালো। সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ২০৫ দিন) সেঞ্চুরি হাঁকানোর নজির গড়লেন। গ্যালারির সবদিকেই মোটামুটি বল পাঠিয়েছেন। লেগসাইডে ‘আউট অফ দ্য পার্ক’ শট ও মেরেছেন। আইরিশ ক্রিকেট তথা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য খুবই আশাপ্রদ ব্যাপার। শত বাধা পেরিয়ে ক্রীড়া জগতে এমিদের উঠে আসা সত্যিই চমৎকার ব্যাপার।
এমির ১২১ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস কে পুঁজি করেই জয় ছিনিয়ে নিল আয়ার্ল্যান্ড। সিরিজ ৩-১। আইরিশ তারকা কেভিন ও’ব্রায়েন জানাচ্ছেন “আমাদের দেশে ক্রিকেটে পরিকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে গত চারবছরে। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা ক্রিকেট কে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে। ‘০৭ সালে ইঞ্জামাম উল হকের পাকিস্তান কে হারানোর পরেই জোয়ার আসে আয়ার্ল্যান্ড ক্রিকেটে, তারপর ২০১১ তে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সবচেয় বড় ‘আপসেট’ টা উপহার দিয়েছিলাম। এমি আমাদের ক্রিকেট কে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে”
অজি তারকা বিলিন্দা ক্লার্ক বলছেন- “খুব গর্ব হচ্ছে। সীমাছাড়া আনন্দ। মেয়েটা পরামর্শ কাজে লাগিয়েছে, এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে!”
সামনে ইংল্যান্ড সিরিজ এবং বিশ্বকাপে সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যেই এবার ঝাঁপাবে এমি হান্টাররা। আশাবাদী আইরিশ কোচ এড জয়েস।