বাহক নিউজ় ব্যুরো: ছোট ছোট পায়েই চলা শুরু, ধীরে চলতে শিখে গিয়ে দৌড়ানোর প্রশিক্ষণ। ঠিক যেন এমনভাবেই চলছে ভারতের মহাকাশ যাত্রার কাহিনী। ২০২০ সালে লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল, সেই সৌর মিশনই এবার আগামী বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে সম্ভবত হতে চলেছে। এই মিশন পিছিয়ে যায় মূলত করোনার কারণেই। এই প্রসঙ্গে হিউম্যান স্পেসফ্লাইট সেন্টারের পরিচালক ডঃ উন্নিকৃষ্ণন নায়ার দাবি করেছেন যে, এই মিশন সফল হলে, মহাজগতের বহু রহস্যের উন্মোচন ঘটবে, এমনকি মহাবিশ্বের উৎস সম্পর্কেও জানা সম্ভব হবে।
ইসরোর এই মিশনের নাম ‘আদিত্য এল ১’। এই মিশনের অধীনে মহাকাশ পর্যবেক্ষণে করতে সাহায্য করবে এক্সপোস্যাট। এক্সপোস্যাটের সাহায্যে সুপারনোভা ও পালসারের মতো মহাজাগতিক উৎসগুলো পর্যবেক্ষণে করা যাবে। এই মিশনের লক্ষ্য হল ‘আদিত্য এল ১’ মহাকাশযানকে ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে পাঠিয়ে প্রতিস্থাপন করা। উল্লেখ্য, সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানে একটি বিন্দু বর্তমান। ওই বিন্দুতে মহাকর্ষীয় টান একদমই কম। এই সুযোগকেই কাজ লাগাতে চেয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। মহাকর্ষীয় টান অনেকটাই কম হওয়ার ফলে সেটাকে মহাকাশের পার্কিং এরিয়ার মতো ব্যবহার পরিকল্পনা তৈরি করেছে ইসরো। এই বিশেষ স্থানে ‘আদিত্য এল ১’-কে প্রতিস্থাপন করিয়ে যাবতীয় গবেষণা চালানোর পরিকল্পনা তৈরি করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশযানটিকে মহাকাশে প্রতিস্থাপন করার জন্য রকেটের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে, ‘আদিত্য এল ১’ মহাকাশে প্রতিস্থাপন করার জন্য রয়েছে এসএসএলভি রকেট। উল্লেখ্য, মাত্র ৭ দিনে ৬ জন বিজ্ঞানীর হাত ধরেই লঞ্চের উপযুক্ত হয়ে উঠবে এই রকেট। আশা করা হয়েছে, সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে সম্ভবত ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই মিশন লঞ্চ হয়ে যাবে।