Table of Contents
Bahok News Bureau: এমন কিছু ব্যাধি পৃথিবীতে যার চিকিৎসার খরচ অত্যাধিক। খরচ বেশি হওয়ার কারণে মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে সেই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। জনসংখ্যার ছয় শতাংশ থেকে আট শতাংশ মানুষ একটি বিরল রোগে ভুগছেন, যার অর্থ ৮.৪ কোটি থেকে ১০ কোটি ভারতীয় এই বিরল রোগে (Rare Diseases) আক্রান্ত। এই রোগগুলির প্রায় ৮০ শতাংশ জিনগত, যার অর্থ হল উপসর্গগুলি সহজে দেখা যায় এবং অল্প বয়সেই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এই বিরল রোগের বার্ষিক চিকিৎসার খরচ কয়েক লক্ষ বা কোটি টাকা হতে পারে, যা বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সরকার সিকেল সেল রোগ সহ ১৩টি বিরল রোগ সনাক্ত করেছে, যার জন্য ভারতীয় ওষুধ কোম্পানীগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব ওষুধ তৈরি করতে বলা হয়েছে। সরকারি সংস্থার সহায়তায় ভারতীয় ওষুধ (Made in India) সংস্থাগুলি মাত্র এক বছরে চারটি বিরল রোগের জন্য ওষুধ তৈরি করতে পেরেছে, যা তাদের চিকিৎসার খরচ ১০০ গুণ কমিয়ে দিয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত।
টাইরোসিনমিয়া (Tyrosinemia) :
এসব রোগের বেশির ভাগই জিনগত এবং আক্রান্তদের অনেকেই শিশু। টাইরোসিনমিয়া টাইপ ১-এর চিকিৎসায় আগে যেখানে বছরে ২.২ কোটি থেকে ৬.৫ কোটি টাকা খরচ হত, এখন সেই খরচ নেমে হয়েছে ২.৫ লক্ষ টাকা। এই রোগের চিকিৎসা না করালে একটি শিশু ১০ বছর বয়সে মারা যায়। এই রোগের চিকিৎসায় যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তার নাম ‘নিটিসিনোন’।
গাউচার’স ডিজিজ (Gaucher’s Disease) :
অন্য তিনটি বিরল রোগ হল গাউচার’স ডিজিজ, যার ফলে লিভার বা প্লীহা বড় হয়ে যায়, হাড়ের ব্যথা ও ক্লান্তি আসে। বছরে ১.৮ কোটি থেকে ৩.৬ কোটি টাকার খরচের থেকে কমে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা হয়েছে।
উইলসন ডিজিজ (Wilson’s disease) :
উইলসন’স ডিজিজের ফলে লিভারে তামা জমাট বাঁধে এবং মানসিক উপসর্গ তৈরি কর। ট্রিয়েনটাইন ক্যাপসুলের খরচ ২.৩ কোটি টাকা থেকে ২.২ লাখ টাকায় নেমে এসেছে।
ড্রাভেট/লেনোক্স গ্যাস্টাট সিনড্রোম (Dravet/ Lennox Gastaut Syndrome) :
ড্রাভেট/লেনোক্স গ্যাস্টাট সিনড্রোম জটিল সিজার বা খিঁচুনির সিনড্রোম সৃষ্টি করে। ১০ কিলো ওজনের একটি শিশুর জন্য আমদানি করা ক্যানাবিডিওল (Cannabidiol) ওরাল সলিউশন ওষুধের দাম প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ থেকে ৩৪ লাখ টাকা, তবে মেড-ইন-ইন্ডিয়া (Made in India) সংস্করণের দাম প্রায় ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত, ১৩ ধরনের বিরল রোগের জন্য ওষুধ (Made in India) তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চারটি রোগের জন্য ওষুধ তৈরি করা হয়েছে এবং বাকিগুলির জন্য শীঘ্রই ওষুধ সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জন ঔষধি কেন্দ্রগুলিতেও ওষুধ সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
আরও পড়ুন:0
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।