বাহক নিউজ় ব্যুরো: দেশজুড়ে একাধিক গাড়ি দুর্ঘটনার বেশিরভাগ কারণরূপেই দেখা যায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণহীন গতি। ঠিক এই কারণেই, গাড়ির সর্বোচ্চ গতি নির্ণয় এখন আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৮০ কিমি/ঘন্টা। কিন্তু, সেই গতি বাড়িয়ে বর্তমানে সর্বোচ্চ গতি ১২০ কিমি/ঘন্টা। এবার, দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে মাদ্রাজ হাইকোর্ট আবারও পুরোনো সর্বোচ্চ গতিবেগ ব্যাপারে পুরোনো নির্দেশিকা কার্যকরী করার নির্দেশ দিল।
দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মামলায় নিয়ন্ত্রণহীন গতিকেই দায়ী করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতিরা। এই নিয়ে শুনানি চলছিল বিচারপতি এন কিরুবাকরুণ ও বিচারপতি ভি থামিসেলভিড় বেঞ্চের অধীনে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, গাড়ির ইঞ্জিন, প্রযুক্তি, উন্নত মানের রাস্তা প্রভৃতির কারণেই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই দাবির পাল্টা দাবি বিচারপতিদের। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতিরা দাবি করেছেন যে, গাড়ির ইঞ্জিন ভালো হওয়ার কারণেই গতি আরওই নিয়ন্ত্রণহীন হবে। ফলে আরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটবে। একই সঙ্গে এও বলা হয়েছে যে, লাগামহীন গতিই যখন পথদুর্ঘটনার কারণ, তাহলে এই সর্বোচ্চ গতি কেন কমানো হবে না?
এদিন আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, “যেখানে, পথ দুর্ঘটনার কারণই হল বেপরোয়া গতি, সেখানে রাস্তা উন্নত মানের হলেই বা ইঞ্জিন প্রযুক্তি উন্নত মানের হলেই দুর্ঘটনা কীভাবে কমবে তা জানা নেই!” একইসঙ্গে এও বলা হয়, “কোনো ব্যক্তি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে যাতে অভিযুক্ত শাস্তি পায়, সেদিকে কড়াভাবে নজর রাখতে হবে। উচ্চ গতি সম্পন্ন গাড়ি এমন তৈরি করতে হবে, যাতে ওই গাড়ির গতি নির্ধারিত গতিকে পেরোতে না পারে”।