বাহক নিউজ় ব্যুরো: পরনে সাদা শাড়ি, হাওয়াই চপ্পল। নিবাস কালীঘাটের দু’কামরার টালির ছোট্ট বাড়ি৷ তিনি বাংলার তৃতীয় বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 2011 সালে পশ্চিমবঙ্গের টানা চৌত্রিশ বছরের সিপিএম সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়েছেন।
এসেছে ঝড়, এসেছে ভাঙ্গন। এগারোর জোটসঙ্গী কংগ্রেস ছেড়েছে হাত, একদা ছায়াসঙ্গী থেকে সেনাপতি সকলেই সুযোগ বুঝে পালটে নিয়েছেন ঝাণ্ডা।
ভারতবর্ষের রাজনীতিতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের পরিচয় কারও মেয়ে, কারও বোন বা কোনো আলোকোজ্জ্বল পরিবারের সন্তান হিসেবে নয়; হত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এক লড়াকু মুখ হিসেবেই নেত্রী দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন৷
রাজনীতির ময়দানে তিনি আগুনপাখি। ইতিহাস সাক্ষী আছে, জমানাত জব্দ হবার মুখে দ্বিগুন শক্তিতে বলিয়ান হয়ে তিনি ফিরে এসেছেন স্বমহিমায়৷
ভারত জুড়ে বয়ে চলা মোদী ম্যাজিক মমতা আটকে দিয়েছেন তাঁর আপন ‘খেলা’-র নিয়মে৷ তাঁর প্রতিদ্বন্দী নেত্রী নিজেই।
ভারতীয় রাজনীতিতে অপ্রতিরদ্ধ মমতা শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রথম সারির নেত্রী হিসেবে পরিচিত তিনি৷
লোকমুখে প্রচলিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির নেত্রী নন, তিনি নিজেই পার্টি৷
অতি সম্প্রতি টাইমস মাগাজিনে একুশ সাকের সারা পৃথিবীর 100 জন প্রভাবশালী নেতার নাম প্রকাশিত হয়। আন্তর্জাতিক স্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি 100 জন প্রভাবশালী নেতার মধ্যে উজ্জ্বল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এখানেও, মোদীকে টক্কর দিতে সেই মমতা