বাহক নিউজ় ব্যুরো: উপনির্বাচনের প্রচারে নেমে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে রাজ্যের বেড়ে চলা মৃত্যু নিয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাত দিতে বারণ করলেন ইলেকট্রিক পোলগুলোতে।

তিনদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে রাজ্যের বহু অঞ্চলের রাস্তায় জমেছিল জল। সেই জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে রাজ্যে। শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয়জন মারা গিয়েছে। শুক্রবার ভবানীপুরের ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচারের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “এটা তো ভোটের সময় নয়। বর্ষার সময়। কিন্তু আপনাদের অসময়ে বিরক্ত করছি। প্রায় ৪ মাস ধরে বর্ষা হচ্ছে। সাড়ে তিন লক্ষ পুকুর কেটেও জল ধরে রাখা যাচ্ছে না। আমরা অনেক পাম্পিং স্টেশন তৈরি করে দিয়েছি। আজ সেটা আমরা করতে দেই না। দু-একটা জায়গা ছাড়া।”

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

কিন্তুু রাজ্যের মানুষকে কেন টানা বৃষ্টি হলেই জল যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে? এই প্রসঙ্গে মমতা জানান, “কিন্তু ব্যাপারটা কী জানেন তো, বাংলাটা হচ্ছে একটা নৌকার মতো। ঝাড়খণ্ডে, বিহারে বেশি বৃষ্টি হলে ডিভিসি জল ছেড়ে দেয় বাংলায়। সল্টলেকটা আরও বড় নৌকা। ওখানে যখন বাড়ি তৈরি হয়েছিল, নীচু জমি ভরাট করেনি। তাই ওখানে জল জমে গেলে বেরোতে সময় লাগে।”

গত তিনদিনে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে নয়জন মারা গিয়েছেন শুধুমাত্র কলকাতাতেই। রাজ্যবাসীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, “আমি সবাইকে আবেদন করব, বর্ষা যখন হয়, দয়া করে ইলেক্ট্রিক পোলে হাত দিতে যাবেন না। এসি, টিভি বন্ধ রাখবেন, তাহলে বিপর্যয় হয় না। ঘরের বাইরে কম বেরোবেন। বজ্রাঘাত আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। আগে বিদ্যুতের অনেকগুলো পকেট ছিল, এখন আর ওসব মানছে না। এগুলো সবই গ্লোবাই ওয়ার্মিংয়ের ফল।”

কলকাতার জমা জল নিয়ে এবং বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হওয়া নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। মনে করা হচ্ছিল প্রশাসনিক কর্মকতাদের কড়া বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তুু মুখ্যমন্ত্রীর গলায় সেরকম কিছু শোনা গেলই না বরং রাজ্যবাসীকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে বললেন তিনি।