মেটা যা অতীতে ‘ফেসবুক’ নামে পরিচিত ছিল, বর্তমানে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ ও ইন্সটাগ্রামের মতো একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও মেসেজিং অ্যাপ রয়েছে। এই মেটাই এবার নিজেদের ‘প্রাইভেসি পলিসি’-তে পরিবর্তন আনতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে মেটার তরফে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, এই সংস্থা নয়া প্রাইভেসি পলিসিতে ব্যবহারকারীদের থেকে সংগৃহীত তথ্যাবলী কীভাবে ব্যবহার করে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট বিবরণ দেওয়ায় জোর দিয়েছে।
নয়া প্রাইভেসি পলিসি, যা আগে ‘ডেটা পলিসি’ নামে পরিচিত ছিল, আগামী ২৬শে জুলাই থেকে কার্যকরী হবে। তবে, এই আপডেটেড প্রাইভেসি পলিসি শুধুমাত্র কিছু অ্যাপের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এগুলি হল ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং ইন্সটাগ্রাম প্রভৃতি। এই সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ, ওয়ার্কপ্লেস, ফ্রী বেসিক্স ও মেসেঞ্জার কিডসকে নয়া নীতির বাইরে রেখেছে।
মেটার তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, নয়া নীতির ব্যাপারে এই সংস্থা ইতিমধ্যে সমস্ত ব্যবহারকারীদের জানানোর প্রক্রিয়া তথা ‘নোটিফিকেশন’ পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন পরিবর্তন পর্যালোচনা করতে ও নীতির ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে জানতে ব্যবহারকারীরা সেই ‘নোটিফিকেশন’-এ ক্লিক করতে পারেন। একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে, এই ‘নোটিফিকেশনে’ ক্লিক করাটা ব্যবহারকারীদের কাছে বাধ্যতামূলক নয়, ব্যবহারকারীরা চাইলে এড়িয়েও যেতে পারেন।
মেটার নয়া পলিসি ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
বিবৃতি অনুযায়ী, মেটার নয়া প্রাইভেসি পলিসি ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার বা শেয়ার করার কোনো ‘নয়া পদ্ধতি’ আনছে না। এর পরিবর্তে, নয়া পলিসিতে সংস্থার তরফে ব্যবহৃত তথ্য আরও বিস্তারিতভাবে ও সরলভাবে দেওয়া হয়েছে। সংস্থার প্রধান প্রাইভেসি অফিসার বলেছেন, “ব্যবহারকারীদের তথ্য কীভাবে ব্যবহার করা হয়, তা বোঝানোর জন্য আমরা আমাদের প্রাইভেসি পলিসি আগাগোড়া নতুনভাবে তৈরি করেছি”। তিনি আরও জানান যে, সংস্থার নয়া নীতিতে ‘থার্ড পার্টি’ (যাদের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করা হয় এবং যাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়)-এর প্রকৃতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। স্পষ্টভাবে এও জানানো হয়েছে যে, কীভাবে এবং কেন এর মালিকানাধীন অ্যাপগুলোতে তথ্য শেয়ার করা হয়, সেটাও বিস্তারিতভাবে রয়েছে নয়া পলিসিতে।
মেটার নয়া ‘প্রাইভেসি পলিসি’তে রাজি হওয়া কী বাধ্যতামূলক?
মেটা-র তরফে জানানো হয়েছে যে, ভারত সহ কিছু দেশের ব্যবহারকারীরা মেটার নয়া প্রাইভেসি পলিসি এড়িয়েও যেতে পারেন। অর্থাৎ, কিছু দেশ নয়া আপডেটেড ‘প্রাইভেসি পলিসি’তে রাজি হওয়ার বা এড়িয়ে যাওয়ার দুই বিকল্পই পাবেন। মেটার এক মুখপাত্রের কথায়, “বেশ কিছু দেশের কাছে আমদের প্রাইভেসি পলিসি শুধুমাত্র তথ্যমূলক”। আর ঠিক এই কারণেই কিছু দেশের ব্যবহারকারীদের নয়া প্রাইভেসি পলিসিতে রাজি না হওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে এবং এর দ্বারা মেটার বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহারেও সমস্যা দেখা দেবে না।