
Table of Contents
Bahok News Bureau: বর্তমানে মায়ানমারের (Myanmar) পরিস্থিতি খুবই খারাপ। মায়ানমারের চিন রাজ্যের জান্তাবিরোধী যোদ্ধারা ভারত সীমান্তের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। চলতি বছরের ২০শে নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত যুদ্ধ চলেছে। ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তে মায়ানমার অংশে দুটি ফাঁড়ি দখল নিতে সক্ষম হয়েছে যোদ্ধারা। অশান্তির জেরে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালাচ্ছেন মায়ানমারের বহু নাগরিক।
যুদ্ধের কারণ কি?
জান্তার বিরুদ্ধে অভিযান বিস্তৃত করার অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়। দেশটির সীমান্তবর্তী শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বিভিন্ন দল প্রথমবারের মতো বাহিনীতে যোগ দিয়েছে এবং গণতান্ত্রিক শাসন পুনরুদ্ধারের জন্য সংঘষে শুরু করেছে।
‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’
সম্প্রতি মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়্যান্স আর্মি, তাঙ্গ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি হাত মিলিয়েছে। এই তিন গোষ্ঠীর জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ (Three Brotherhood Allience) হিসেবে পরিচিত। মায়ানমারের বিভিন্ন প্রান্তে জুন্টা সরকারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ওই গোষ্ঠীর প্রবল সংঘর্ষ চলছে। সাম্প্রতিক কালে তিন গোষ্ঠীর জোটের সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রথম সংঘাত ঘটে গত ২৭ অক্টোবর। লড়াই হয় দেশের উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে। দ্বিতীয় সংঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর। সে সংঘর্ষে দক্ষিণ-পূর্বের একটি বড় এলাকা দখল করে নিয়েছে ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’। সম্প্রতি আরাকান আর্মি একটি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে। ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর এই অগ্রগমনে রীতিমতো শঙ্কিত জুন্টা প্রশাসন। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে যদি তিন গোষ্ঠীর জোট মায়ানমারের (myanmar) কেন্দ্রস্থল, বিশেষ করে মান্দালয়ের উত্তরে সংঘর্ষ শুরু করে।
‘অপারেশন ১০২৭’
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মায়ানমারের ক্ষমতায় আসে দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর থেকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে এবারই প্রথম পড়তে হয়েছে তাদের। গত মাসের শেষ থেকে মায়ানমারের তিনটি সংখ্যালঘু আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী একজোট হয়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে। এরই মধ্যে সমন্বিত এই জোট কয়েকটি ছোট ছোট শহর ও সেনাপোস্ট দখল করে নিয়েছে। বিদ্রোহীরা এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন ১০২৭’(Operation 1027)।
পরিস্থিতির জেরে পালাচ্ছে মানুষ
গত সপ্তাহ থেকে বিদ্রোহী ও মায়ায়ানমার (Myanmar) সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মায়ানমারের নাগরিক ভারতে প্রবেশ করেছেন। প্রায় ৪৭ জন মায়ানমার সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন, যারা আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের সীমান্তবর্তী মিজোরামের রাজ্য পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে এই সেনা সদস্যদের মণিপুরের সীমান্ত শহর মোরেহে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের মায়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিবৃতি জারি
মায়ানমারের জান্তা (Junta) বিরোধী গোষ্ঠী এবং সরকারী বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের মধ্যে ভারত একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাগরিকদের প্রতিবেশী দেশে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে বলা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, “মায়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের মায়ানমারে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” যারা ইতিমধ্যে মায়ানমারে বসবাস করছেন তাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যারা ইতিমধ্যে মায়ানমারে বসবাস করছেন তাদের ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয়দেরও সড়কপথে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার কথাও বলা হয়েছে।
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।