বাহক নিউজ় ব্যুরো: ফেসবুকের মূল সংস্থার নাম বদলে গিয়েছে গতকাল। মূল সংস্থা ‘মেটা’র অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া গুলো।এরকম নাম বেছে নেওয়ার পিছনের গল্পটা জানালেন সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ।
ফেসবুকে নামবদল সম্পর্কিত দীর্ঘ পোস্টে জুকারবার্গ লেখেন, “আমরা ইন্টারনেটের জন্য পরবর্তী অধ্যায়ের শুরুতে আছি এবং এটা আমাদের সংস্থার জন্যও পরবর্তী অধ্যায়। বেশিরভাগ টেক কোম্পানি গুরুত্ব দেয় কীভাবে মানুষ প্রযুক্তির সঙ্গে ব্যবহার করবে, আমরা গুরুত্ব দিই প্রযুক্তি তৈরির মাধ্যমে মানুষে মানুষে যোগাযোগ তৈরি করার। মার্ক আরো জানান, “সোশ্যাল অ্যাপস তৈরি করা সবসময় আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং আরও অনেক তৈরির বাকি আছে। কিন্তু সর্বতোভাবে এটাই শুধু আমরা করছি না। আমাদেের ডিএনএ হল, মানুষকে একসঙ্গে আনা। আর মেটাভার্স হবে সেটাই, যেমনটা আমরা শুরুর সময়ও ছিলাম।”
পরিকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন এলেও মেটার ব্যবসায়িক উদ্দ্যেশ্য একইরকম থাকছে। ভবিষ্যতের প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে সামাজিকভাবে দেবে মানুষকে এগিয়ে দিতেই চায় মেটাভার্স। মার্ক লেখেন, ” আমাদের মিশন সেই একই- মানুষকে একত্রিত করা। আর আমাদের অ্যাপস ও ব্র্যান্ডের পরিবর্তন হচ্ছে না।”
এরকম নাম বেছে নেওয়ার নেপথ্যে কী রয়েছে, জানা গেল সেটাও। জুকারবার্গ জানালেন, ছোট থেকে তিনি অনেক ক্লাসিক পড়েছেন। গ্রিক মাইথোলজি থেকে মেটা নামটা এসেছে। ‘মেটা’র অর্থ বেয়ন্ড বা ছাড়ানো। মার্ক এ সম্পর্কে বলেন, “আমার মতে, এটা বোঝায় যে প্রতিনিয়ত আরও সৃষ্টি করতে হবে এবং সবেরই পরের অধ্যায় রয়েছে। একটা ছোট্ট ঘর থেকে শুরু হওয়া আমাদের গল্প যেমন আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এই ফ্যামিলি অ্যাপস ব্যবসা থেকে সম্প্রদায়, সেখান থেকে আন্দোলন করেন মানুষ। যা চটজলদি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।”
উল্লেখ্য, ফেসবুকের মূল সংস্থার নাম বদলালেও ফেসবুক অ্যাপের নাম বদল হচ্ছে না। মূল সংস্থার কর্মকতারা মনে করছেন, যেহেতু এই সংস্থার অধীনে ফেসবুকের সঙ্গে হোয়াটঅ্যাপ, ইন্সটাগ্রামের মতো অ্যাপও রয়েছে তাই মূল সংস্থার নাম পরিবর্তনের কথা ভাবলেন তারা।