বাহক নিউজ় ব‍্যুরো: ফের গন্ডগোল দেখা দিয়েছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপে। প্রাথমিকভাবে স্পেস টেলিস্কোপকে সেফ মোডে পাঠিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হওয়ায় আরো একবার এই স্পেস টেলিস্কোপের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি সংস্থা নাসা‌।

কিছুদিন আগে প্রায় এক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাবল টেলিস্কোপের সমস্ত কাজ। দীর্ঘদিন ধরে জটিল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অবশ‍্য ঠিক হয়েছিল এ স্পেস টেলিস্কোপ। কিন্তু আরো একবার সমস্যা দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তবে সমস্যা সমাধান করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

বর্তমানে সেফ মোডে রয়েছে হাব্বল স্পেস টেলিস্কো‌প । বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কি সমস্যা হয়েছে তা তদন্ত চলাকালীন এই পর্যায়ে সুরক্ষিত এবং নিরাপদে থাকবে হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। মহাকাশের বিস্তীর্ণ অংশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য মূল হাতিয়ার হল এই স্পেস টেলিস্কোপ। দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশের বিভিন্ন বিষয় আমাদের সামনে তুলে ধরেছে এই স্পেস টেলিস্কোপ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিপ্লব আনতেই এই টেলিস্কোপ এর উদ্ভাবন হয়েছিল। মহাকাশ, ছায়াপথ, চাঁদ, গ্রহ -নক্ষত্র এসব প্রসঙ্গে আদি ধারণা পরিবর্তন করে নতুন ভাবে সকলের কৌতূহল নিবারণ এর জন্য আবিষ্কার করা হয়েছিল হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের। মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছাড়াও মহাকাশে যে আরও অসংখ্য ছায়াপথ রয়েছে সেই ধারণা‌ও দিয়েছে নাসার এই স্পেস টেলিস্কোপ।

উল্লেখ্য গত ২৩ অক্টোবর এই স্পেস টেলিস্কোপের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাংশের মারফত এরর কোড প্রকাশিত হয়েছে । এর থেকে বিজ্ঞানীদের একাংশ।অনুমান করেছেন নির্দিষ্ট কোন মেসেজের সিঙ্ক্রোনাইজেশনে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যে মেসেজর সিঙ্ক্রোনাইজেশনে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেটি আসলে টাইম বা সময় সংক্রান্ত তথ্য দেয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে সঠিক রিকুয়েস্ট এবং সঠিক কমান্ডের উপযুক্ত সাড়া দিয়ে কাজ করে বেশ কিছু যন্ত্রাংশ। আপাতত এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে সমস্ত বৈজ্ঞানিক কার্যকলাপ বন্ধ রয়েছে। কারন বেশকিছু যন্ত্রাংশ রিসেট করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

২৩ অক্টোবর সমস্যা দেখা দেওয়ার পর ২৫ অক্টোবর স্পেস টেলিস্কোপকে সেফ মোডে পাঠিয়েছিলেন বৈজ্ঞানিকেরা। এরর কোড দেখার পর আর ঝুঁকি নেননি তারা। আপাতত এই সমস্যার সমাধান করে ৩০ বছরেরও বেশি পুরোনো এই স্পেস টেলিস্কোপকে সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনা নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে এখন একটা চ্যালেঞ্জ। হাব্বল টেলিস্কোপ আসলে মার্কিন স্পেস এজেন্সি এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি স্পেস টেলিস্কোপ। ১৯৯০ সালে প্রথম এটি লঞ্চ করা হয়েছিল । তারপর থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত ১.৩ মিলিয়নের‌ও বেশী পর্যবেক্ষণ করেছে এই স্পেস টেলিস্কোপ।