বাহক নিউজ ব্যুরো :   ঘটনার সূত্রপাত গতকাল। কোনো ঠিকঠাক কারণ না দর্শিয়েই ফেসবুকের একটি গ্রুপ ‘No Vote To BJP’কে উড়িয়ে দেওয়া হয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সেটি নিয়ে প্রতিবাদ জানানো শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফেরানো হল গ্রুপটিকে।

 

‘নো ভোট টু বিজেপি’ গ্রুপটি মূলত বিজেপি বিরোধী গ্রুপ। বিজেপি সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্লাটফর্ম হিসেবেই এই গ্রুপ তৈরী হয়েছিল। প্রায় ৩৩ হাজার সদস্য-সদস্যা সম্মিলিত এই গ্রুপ ফেসবুকের অন্যতম সক্রিয় গ্রুপ। প্রসঙ্গত এই গ্রুপ বিধানসভার ভোটের আগে থেকেই ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অনেকের মতে, এই গ্রুপ সোশ্যাল সাইটে বিজেপি বিরোধী প্রচারের অনেকটা বড় ভূমিকা পালন করে। সেই গ্রুপকেই হঠাৎ ফেসবুক থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়, তাও আবার কোনও কারণ না দর্শিয়ে। স্বভাবতই বেজায় চটেছিলেন গ্রুপের সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ। তাঁদের অনেকেরই মনে হয়েছে, এটি আসলে ফেসবুকের বিজেপিপ্রেম।

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

 

এরই কয়েকঘন্টার মধ্যে আরও একটি গ্রুপ বানিয়ে #RestoreNoVoteToBJP লিখে ট্রেন্ডিং শুরু হয়। প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ে প্রচুর মানুষের টাইমলাইনেও। নিজের স্ট্যাটাসে, ছবিতে মানুষ গ্রুপকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিবাদ শুরু করেন। এমনকি যদি গ্রুপ না ফেরে তবে গ্রুপের মেম্বাররা আগামী সোমবার দিল্লী, ব্যাঙ্গালোরে ফেসবুক অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা ভেবেওছিলেন।

 

 

আর ঠিক এরপরেই হঠাৎ সদস্যরা বিজ্ঞপ্তি পেতে থাকেন যে গ্রুপ ফিরে এসেছে। রীতিমতো স্বস্তি ফিরে আসে গ্রুপের মেম্বারদের মধ্যে। এই প্রতিবাদেই কি ফেসবুক কতৃপক্ষ গ্রুপ ফেরালো? গ্রুপের এক সক্রিয় সদস্যা শতাব্দী দাস বলেন, “নো ভোট টু বিজেপি গ্রুপটি ফ্যাসিস্ট আরএসএস, বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা মঞ্চের অফিশিয়াল গ্রুপ নয়, কিন্তু আমাদের মঞ্চের সঙ্গে অবিরাম কাজ করে চলা ছাত্র-সাথীদের তৈরি এই গ্রুপ। এই মুহূর্তে সদস্য সংখ্যা ৩৩ হাজার। কাল ফেসবুক গ্রুপটিকে উধাও করে দেয়। প্রতিবাদ হয় চারদিকে। বাংলা তথা সর্বভারতীয় নানা মিডিয়া হাউজে খবর হয়৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট জনতা ও সাংবাদিকদের তৎপরতা দেখে আমরা অভিভূত। একদিনের মাথায় আজ আবার গ্রুপ ফেরত পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে আমরা দিল্লি ও ব্যাঙ্গালোরের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে সেখানকার ফেসবুক অফিসের সামনে ডেমনস্ট্রেশনের কথা ভাবছিলাম। তার আর প্রয়োজন নেই আপাতত৷ ফেসবুককে ধিক্কার। জনতার প্রতিবাদকে কুর্নিশ।”