বাহক নিউজ় ব্যুরো: পেটে টিউমার হয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম নাকোরের বাসিন্দা মনিকা সেরেসার। পেটের যন্ত্রণা সারিয়ে দিয়েছিল চার্চে মাদার টেরিজার ফটো থেকে বের হয়ে আসা রশ্মি। আজও এমনটাই দাবি করেন মনিকা।
বেশ কিছু বছর আগে মনিকার পেটে টিউমার ধরা পড়ে। অনেক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন মনিকা,ওষুধ-পথ্য চলেছিল অনেক টাকা খরচ করে। কিন্তুু কোনো লাভ হচ্ছিল না। সবকিছু যখন বিফলে গিয়েছিল তখন মনিকার বোন গ্রামের মিশনারি অফ চ্যারিটি সেন্টারে নিয়ে যায় তাকে। সেখানে মাদার টেরিজার একটি ছবি ছিল। ওই ছবি থেকে সাদা আলো বেরিয়ে এসে মনিকার চোখে পড়ে। হতচকিত অবস্থায় মনিকা বসে পড়ে। এরপর একজন সিস্টার এসে মাদার টেরিজার একটি লকেট মনিকাকে দিয়েছিল। ওই রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল মনিকা। পেটের অসহ্য যন্ত্রণায় সমস্যা হত ঘুম আসতে, কিন্তুু ওই রাতে ঘুম চলে আসে। এরপর মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে দেখে তাঁর পেটের টিউমার উধাও হয়ে গিয়েছে, পেটে কোনোরকম ব্যাথা নেই। এরপর ডাক্তাররাও নিশ্চিত করেছিল মনিকার টিউমারটি এখন আর নেই।
মনিকা আজও মাদার টেরিজার ‘অলৌলিক’ শক্তিতেই টিউমার সেরেছিল মনে করলেও অনেক ডাক্তার, বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি মনিকার এই দাবি মানতে নারাজ। ভারতের দরিদ্র, অসুস্থ ব্যক্তিদের ‘অলৌকিক’ উপায়ে সুস্থ করার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি।