বাহক নিউজ় ব্যুরো : ভারতীয় পুরুষ হকি দল ৪১ বছর পর অলিম্পিকের সেমিফাইনালে উঠেছে, মহিলা হকি দল উঠেছে প্রথমবার। নিঃসন্দেহে বলা যায় রূপালী পর্দার ‘চক দে ইন্ডিয়ার’ ‘কবীরখান’ আসলে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
দুন স্কুলের হকি টিমের গোলকিপার ছিলেন ওড়িশার এখনকার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তখন ভারত একটার পর একটা অলিম্পিক সোনা এনে চলেছে পুরুষদের হকিতে। দেশজুড়ে ছিল হকি নিয়ে উন্মাদনা। এরপর রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ নবীনের। একসময় নিজের চোখে বদলে যেতে দেখেছেন ভারতীয় হকিকে। একবার দুইবার নয়, বারবার অলিম্পিকে ব্যর্থ হচ্ছিল ভারত। দেশের দুই-চারটি রাজ্য বাদে সব জায়গায় কমে গেল হকির জনপ্রিয়তা। স্পন্সররা ধীরে ধীরে সরে যেত লাগল হকি থেকে। সবাই যখন ধরে নিয়েছে ভারতীয় হকি ‘মৃত’, তখন এগিয়ে এলেন নবীন পট্টনায়েক।
২০১৮ সালে সবাইকে অবাক করে ঘোষণা করলেন, পরবর্তী পাঁচ বছরে ভারতীয় পুরুষ এবং মহিলা হকি দলের সব খরচ বহন করবে ওড়িশা সরকার। এছাড়া ১৫০ কোটি টাকা খরচ করা হবে হকির ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের জন্য। এখানেই শেষ নয়, নিজের উদ্যোগে আরো ১০০ কোটি টাকার স্পনসরশিপ জোগাড় করে এনেছিলেন। রাউরকেল্লায় ২০,০০০ দর্শকের জন্য হকির একমাত্র স্টেডিয়ামটি তৈরী করছেন। টাটা গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে ভুবনেশ্বরে বানিয়েছেন ভারতে হকির একমাত্র হাই পারফরমেন্স সেন্টারটি। কলিঙ্গ হকি কমপ্লেক্সে সারা দেশে ২৫০০ উঠতি হকি খেলোয়াড়ের ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছে উড়িষ্যা সরকার। ২০১৮-র হকির ওয়ার্ল্ড কাপের আয়োজন করেছিলেন ওড়িশায়, এমনকি ২০২৩ সালের হকি ওয়ার্ল্ড কাপ ও ওড়িশায় হবে।
এক সাংবাদিক নবীনকে প্রশ্ন করেছিলেন উড়িষ্যার মতো গরিব রাজ্যর পক্ষে এই বিপুল খরচ একটু বাড়াবাড়ি নয় কি? নবীন পট্টনায়েক উত্তরে বলেছিলেন “আমার ইনভেস্টমেন্ট ভারতীয় ক্রীড়া প্রেমী যুবক-যুবতীদের জন্য। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা আমাকে হতাশ করবেন না।”