আসছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব ঈদ-উল-আদাহ। গ্রাম বাংলায় এই উৎসব বকরি ঈদ বা কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় এই উৎসবটি পালন করে। বছরে দুইবার আসে ঈদ। একটি ঈদ-উল-ফিতর, অন্যটি ঈদ-উল-আদাহ। দুটো ঈদের পার্থক্য কোথায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
ঈদ-উল-আধাহ উৎসবে নিজের প্রিয় বস্তু বা প্রিয় পশুকে আল্লার কাছে উৎসর্গ করে কোরবান করতে হয়। হিজরি ক্যালেন্ডারের শেষ মাসে আকাশে চাঁদ উঠবার পরেই ঈদ-উল-আধাহ পালন করা হয়। ইসলাম মতে, এই উৎসব ত্যাগের প্রতীক। গরু,ছাগল,উট,ভেড়া বা অন্যান্য পশুকে কোরবান করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে কোরবানির মাংস সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ গরিব অসহায় মানুষকে দান করা হয়, বাকি দুইভাগের একভাগ আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে এবং একভাগ নিজেদের জন্য রাখা হয়। কুরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করে অনেকে সেই অর্থ গরিব মানুষদের দান করেন।
ঈদ-উল-ফিতর পালিত হয় রমজান মাসে। এই মাসে রোজা বা উপবাসে থাকতে হয়। অর্থাৎ সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত কিছু খেতে নেই এই মাসে। ধার্মিক মুসলিমরা এই মাসে রাগ, ঈর্ষা, দ্বেষ, কাম বর্জন করে দিন যাপন করেন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদ-উল-ফিতরের দিন অভাবী, দুস্থদেরকে অর্থ প্রদান করে থাকে,এটিকে ফিতরা বলা হয়। এই দিনে সকালে নতুন পোশাক পরে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার রীতি আমাদের দেশে প্রচলিত। ঈদ-উল-ফিতরের দিনে সেমাই সবচেয়ে প্রচলিত খাবার, নানারকম সেমাই সহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার এইদিন ঘরে ঘরে বানানো হয়ে থাকে।
দুটো ঈদে বেশ কিছু পার্থক্য যেমন আছে, তেমন মিলও আছে, দুটো ঈদে’ই ধনী, মধ্যবিত্ত মানুষের সাথে গরিব মানুষের মেলবন্ধন ঘটে, অসহায় গরিব মানুষেরা দু’টো খেয়ে খুশিতে থাকে।
শুভময় মল্লিক