বাহক নিউজ় ব্যুরো: বিংশ শতাব্দীতে বাংলা সিনেমাকে নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন যে পরিচালকেরা তাদের মধ্যে পরিচালক তপন সিনহা অন্যতম ব্যক্তিত্ব। বাংলা চলচ্চিত্রকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন এই বিশ্ববরেণ্য পরিচালক।
আগামী ২ রা অক্টোবর পরিচালকের জন্মবার্ষিকী। বেঁচে থাকলে পা দিতেন ৯৮- এ। প্রায় ১২ বছর আগে অনন্তলোকের পথে পাড়ি দিলেও আজও অসংখ্য সিনেমাপ্রেমীদের মনে নিজের সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি অমর হয়ে আছেন।
আগামী ৩রা অক্টোবর তপন সিনহার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বড় পর্দায় প্রদর্শিত হবে তাঁর দুই অম সৃষ্টি ‘আপনজন’ ও ‘ক্ষুধিত পাষাণ’। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘ক্লিক’। নন্দনে দুপুর একটায় প্রদর্শিত হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও ছবি বিশ্বাস অভিনীত ‘ক্ষুধিত পাষাণ’।
অন্যদিকে ‘আপনজন’ ছবিটির স্ক্রিনিং হবে বিকেলে। ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি বাংলা চলচ্চিত্রের এক মাইলস্টোন। ছায়া দেবী, স্বরূপ দত্ত অভিনীত এই ছবি জাতীয় পুরষ্কারের মঞ্চেও সম্মানিত হয়েছিল। এই ছবির স্ক্রিনিং-এ হাজির থাকবেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। তাঁদের সাথে বসে রূপোলী পর্দায় এই ক্লাসিক ছবি দেখার সুযোগ পাবেন ক্লিকের নতুন গ্রাহকেরা।
পরিচালক তপন সিনহার প্রথম ছবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘সৈনিক’ অবলম্বনে ‘অঙ্কুশ’। এটি তেমন সাফল্য পায়নি। তাঁকে লাইমলাইটে নিয়ে আসে রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্প নিয়ে তৈরী ‘কাবুলিওয়ালা'(১৯৫৭)। রাতারাতি বাঙালি দর্শকদের মন জয় করে ফেলেন তপন সিনহা। বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত হয় এই ছবি। এরপর একে একে ‘লৌহকপাট’, ‘ক্ষণিকের অতিথি’, ‘ঝিন্দের বন্দী’, ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’-র মতো কালজয়ী সিনেমা বাঙালী দর্শকদের উপহার দিয়ে গেছেন তিনি।