বাহক নিউজ় ব্যুরো: মিড-ডে মিলে বছরের শুরুতে স্কুল-পড়ুয়ারা পেত চাল, আলু, ছোলা এবং সাবান। মে মাসে আগের জিনিসগুলোর সাথে চিনি, সয়াবিন এবং ছোলা যুক্ত করে মোট সাতটি জিনিস দেওয়া হয়। এরপর হঠাৎ করে কমতে থাকল মিড-ডে মিলের জিনিসপত্রের সংখ্যা ও পরিমাণ। জুন মাসে তালিকা থেকে একটি ও সেপ্টেম্বরে ফের একটি জিনিস কমে এখন মিড ডে মিলে পাঁচটি জিনিস দেওয়া হবে। জিনিসের সংখ্যাই শুধু নয়, সামগ্রীর পরিমাণও কমেছে।

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হন্ডা হিসেব করে দেখান, দৈনিক একজন পড়ুয়া পিছু মিড-ডে মিলে আগে কত খরচ হতো এবং এবং এখন কত খরচ হবে। এই হিসেবে মাসে একজন পড়ুয়া পিছু কত খরচ কমাচ্ছে রাজ্য সরকার সেটিও হিসেব করে দেখান তিনি। স্কুল খোলা থাকলে একজন পড়ুয়ার সেপ্টেম্বর মাসে মিড ডে মিল পিছু বরাদ্দ হচ্ছে আলু (৩২ টাকা)+ মুসুর ডাল (২৫ টাকা) + চিনি (১১ টাকা) সাবান (১০ টাকা)। মোট ৭৮ টাকা। প্রাথমিকের পড়ুয়ার জন্য আগে বরাদ্দ ছিল প্রায় ১০০ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য আগে বরাদ্দ ছিল ১৪৯ টাকা। আনন্দবাবু বলেন, “অতিমারি পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টির প্রয়োজন বেশি। আমরা অনেক দিন ধরে ডিম দেওয়ার দাবি করেছি। এও বলেছি যে সয়াবিন বন্ধ করলে চলবে না।”

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

লাভপুর সত্যনারায়ণ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “স্কুলে সপ্তাহে দু-তিন দিন ডিম দেওয়া হত। এখন তো সে সব কিছু পায় না। গ্রামের প্রান্তিক পরিবারের বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েরা খুবই পুষ্টির অভাবে ভুগছে।”

কিন্তুু মে মাসে খাবারের জিনিসের সংখ্যা ও পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল কেন, এবং কেনই বা ফের কমল, এর উত্তরে শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “গত আর্থিক বছরের শেষে দেখা গিয়েছিল, বরাদ্দ অর্থের কিছুটা বেঁচে গিয়েছে। সেই উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে বেশি পরিমাণে সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। এই আর্থিক বছরের শেষে অর্থ উদ্বৃত্ত হলে ফের মিড ডে মিলের সামগ্রী বেড়ে যেতে পারে।”