বাহক নিউজ় ব্যুরো: বেড়েছে ঝুমি নদীর জলস্তর। একটানা ভারী বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে। কিন্তু, এই বিপর্যয়ের কারণে সমস্যায় পড়েছেন ঘাটালের গ্রামবাসীরা। আগের বারে বন্যাতেই একাধিক বাঁশ ও কাঠের সাঁকো ভেঙে গেছিল। জলস্তর নেমে যাওয়ার পরে গ্রামবাসীরা আবারও বাঁশ ও কাঠের সাঁকো বানায়। কিন্তু, জলস্তর আবারও বেড়ে যাওয়ায় আবারও সমস্ত সাঁকো ভেঙে ভেসে গেছে। ফলত, যাতায়াতের জন্য নিতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি।
মূলত, ঘাটাল ব্লকের মনসুকা গ্রামে ঝুমী নদীর জলস্তর বেড়ে গেছে। এই নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় জলের তোড়ে ভেসে গেছে একাধিক সাঁকো। এই কারণে, শুধুমাত্র নৌকাই যাতায়াতের একমাত্র সম্বল। ফলত, মনসুকা ১-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষদের এবং হুগলী ও মেদিনীপুরের দূর দুরন্ত থেকে আসা মানুষদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
গ্রামবাসীরা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “প্রত্যেক বর্ষাতেই আমাদেরকে এই দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকা পারাপার করতে হয়। সবাইকেই এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার থাকলেও সমস্যার মুখে পড়তে হয়”। এই দুরাবস্থার কথা উল্লেখ করে, গ্রামবাসীদের দাবি করেছেন যে, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত।
একই দৃশ্য দেখা গেছে চাইলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামকিশোরপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবারে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভাঙার পরেই এই বিপর্যয়। নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে দেখা যাচ্ছে প্লাবনের আশঙ্কা। ফলত, ওই এলাকার গ্রামবাসীদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গাতে। উল্লেখ্য, নিম্নচাপের জের এখনও শেষ হয়নি। যার ফলে, খারাপ পরিস্থিতির জেরে ঘাটালের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জল জমে গেছে। ফলত, নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল এবং রোগীর আত্মীয় ও সহকর্মীরা চরম দুর্ভোগে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, টানা বৃষ্টির জেরে কেশিয়াড়ি ব্লকে প্রায় ২০০টির মতো কাঁচাবাড়ি ভেঙে জলে মিশে গেছে এবং এই অবস্থার মাঝেই রাতের অন্ধকারেই দেওয়াল ভেঙে পড়ায়, প্রাণ হারিয়েছেন বিজলি পাতর নামক এক ব্যক্তি।