বাহক নিউজ় ব্যুরো:বেড়েছে নদীর জলস্তর, ফলে আবারও মাত্র একমাসের ব্যবধানে তৈরি হয়েছে বন্যার পরিস্থিতি। মাঠে চাষ করা ধান, শাকসবজি প্রভৃতি সবকিছুই জলের তলায়। ফলে কৃষকদের মাথায় হাত। আগের বারে বন্যার পরেই কৃষকরা সবে কাজ শুরু করেছিলেন, এরই মধ্যে আবার বন্যা হয়ে যাওয়ায় বেশ বড়ো রকমের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লেন তাঁরা।

ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন কৃষক। ওই এলাকার মধ্যে দিয়েই বয়ে শিলাবতী নদী। এক মাস আগে যখন বন্যা হয়েছিল তখন শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে গেছিল। জলস্তর কমে যেতে শুরু হয় বাঁধ মেরামতির কাজ। বাঁধ মেরামত হয়ে যাবে এই আশাতেই কৃষিনির্ভর এই এলাকায় চাষবাস শুরু করে দেন চাষিরা। কিন্তু, দ্বিতীয়বার শিলাবতী নদীর জলস্তর বাড়তেই বাঁধ মেরামতির কাজ থেমে যায়। ফলত, বর্তমানে চাষিদের মাথায় হাত।

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

এই পরিস্থিতিতে চাষিরা অভিযোগ করেছেন যে, খামাড়িয়া এলাকার বাঁধ মেরামতির কাজে গড়িমসি করা হয়েছে সেচ দফতরের তরফে এবং তাদের জন্যই কৃষকদের এই করুণ অবস্থা। উল্লেখ্য, ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের অধীনে ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিলাবতী নদীর ওপারে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে সেই দায়িত্ব স্থানান্তরিত হয় সেচ দফতরের কাঁধে। এরপরেই ঘটে বিপত্তি, দ্বিতীয়বার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় আবারও থমকে গেছে কাজ। ফলত, সেই ভাঙা বাঁধ দিয়েই জল ঢুকে যাচ্ছে মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁপুর, গাঁচা, পাইকপাড়া, নিশ্চিন্তপুর গ্রামে।

সেচ দফতরের তরফে কাজে গাফিলতির কারণেই এই পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের, এই অভিযোগ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা এও অভিযোগ করেছেন যে, এর আগে হওয়া বন্যায় তাঁদের ফসলের ক্ষতি হওয়ার পরেও কোনো প্রকারের সুযোগ সুবিধা পান নি। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র সাধারণ চাষিরাই নয়, এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বরা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সূর্যকান্ত দোলাইও সেচ দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা এও দাবি করেছেন যে, বিমার টাকাও পাওয়া যায়নি।