বাহক নিউজ় ব্যুরো: বৃহস্পতিবার দিল্লি সফরে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তাঁর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন। ৪ দিনের এই সফরের প্রথম দিনেই দলীয় সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের দিল্লির বাড়িতে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও যোগ দেওয়ার কথা তাঁর।
আরও পড়ুন: টাকা তুমি কার! পার্থ, অর্পিতার জেলের পথেই বিস্ফোরক দাবি অপা-র আইনজীবীর
শুক্রবার বিকেলে ৪০ মিনিটের বৈঠক করেছেন মোদি, মমতা। রাজ্যের বকেয়া নিয়ে চিঠি সঙ্গে ক্ষীরের দামি মিষ্টি, চাদর, হলুদ গোলাপের তোড়া নিয়ে ওই বৈঠকে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সন্ধ্যায়, সদ্য নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই পর্যন্ত সব ঠিক চললেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইডি হেফাজত, গ্রেফতারি, বিপুল টাকা, সম্পত্তি উদ্ধার এবং শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে তৃণমূলের চাপে থাকা অবস্থায় মমতার এই দিল্লি সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখানেই ফের উঠে এসেছে মমতা-মোদি ‘সেটিং তত্ত্ব’।
সরব হয়েছেন বাম, কংগ্রেস নেতারা। সরাসরি ‘ভাইপো’কে বাঁচাতে, পার্থ-ইস্যু নিয়ে সেটিং করতেই মমতার দিল্লি সফর এবং এই বৈঠক বলেই দাবি করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, সেটিং করতেই এই বৈঠক। এটা কত নম্বর সেটিং? ভাইপোর নামটা সিবিআই তদন্তের থেকে বাদ দিতে কি এই সেটিং? সরব বাংলার কংগ্রেস নেতারাও। যদিও এই ‘সেটিং তত্ত্ব’ নাকচ করেছে তৃণমূল। এক’শো দিনের কাজ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় বকেয়া নিয়েই দরবার বলে দাবি তৃণমূলের। মমতার তরফে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, এই দাবি আসলে লোক দেখানো। যখনই মমতার দল বিপদে পড়ে, অস্বস্তিতে পড়ে তখনই এই ‘সেটিং’ করতে দিল্লি যান মমতা। মোদির সঙ্গে মিটিং করে আসলে এসবই মেটাতে চান তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন: Cabinet Reshuffle: ব্যাপক ‘রদবদল’ মমতার ক্যাবিনেট, কে কে রয়েছেন এই তালিকায়?
এদিকে এই সেটিং তত্ত্বের পরেই অনেকটা ব্যাকফুটে রাজ্য বিজেপি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাণ্ডের পরে খানিকটা রাজনৈতিক অক্সিজেন পেলেও মমতা, মোদি সাক্ষাৎ ফের অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের। সূত্রের খবর, এই বৈঠক যাতে এখনই না হয় তা নিয়ে রাজ্যের নেতারা নাকি কেন্দ্রকে দরবার করেছিলেন। সেটা আর হয়ে ওঠেনি। যদিও বিজেপি নেতাদের প্রকাশ্য দাবি, সিপিএম-কংগ্রেসের মতো শূন্য হয়ে যাওয়া দল এসব দাবি করছে, আসলে রুটিন সাক্ষাৎ এটি, এর সঙ্গে সেটিং করার কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, মুখে ওঁরা যতই বলুন সেটিং সেটিং গন্ধে যে খানিকটা ম ম করতে পারে এই রাজ্যও, তা ভালই জানেন ওঁরা!