২১সালের ২১শে জুলাইয়ের গুরুত্ব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের কাছে অন্য বছর গুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি।এবছর পশ্চিম বঙ্গ ছাড়াও উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, আসামেও শহীদ দিবসের সমাবেশ হবে। তবে অন্য রাজ্যগুলোকে টেক্কা দেবে ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস।
২১শে জুলাইয়ের আবেগ তৃণমূল নেতা কর্মীদের কাছে আগে থেকেই ছিল। কিন্তুু এবছরের ২১শে জুলাইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। এবছর রাজ্য বিধানসভায় সারা দেশের চোখ ছিল। লড়াই ছিল, মোদি ভার্সেস মমতার। সেখানে বিজেপিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে দেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বাড়াতে চাইছে তৃণমূল, আর সেই চেষ্টার প্রথম ধাপ শুরু হতে চলেছে ২১শে জুলাই। গতবছরের মতো এবছরও ২১ জুলাই পালন করা হবে ভার্চুয়ালি। করোনা পরিস্থিতি ফিরে না এলে এছর ব্রিগেডে হতো ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশ। এবছরের ২১শে জুলাই থেকে হয়ত ২৪শের লড়াইয়ের দামামা বাজাতে চলেছেন দলনেত্রী। তৃণমূলের অন্দর থেকেও সেরকমই খবর ভেসে আসছে। আর দিল্লীর গদি থেকে নরেন্দ্র মোদিকে সরাতে উত্তর প্রদেশ, আসাম, গুজরাটের মতো বিজেপির শক্ত ঘাটি গুলোকেই টার্গেট করছে তৃণমূল। তাই ধূমধাম করে ২১ জুলাই পালিত হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেও।
ত্রিপুরাতে ইতিমধ্যে ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশের ভার্চুয়াল পোস্টারে ছেয়ে গেছে। অসংখ্য জায়গায় বড় স্ক্রিনে সরাসরি মমতা ব্যানার্জীর ভাষণ শোনানো হবে।দুপুর দুটো থেকে দলনেত্রী তাঁর বার্তা দেবেন। তার আগে ওইদিন সকালে সাইকেল মিছিল করবেন ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। উত্তর প্রদেশ, গুজরাটের ছবিটাও মোটামোটি এরকমই। সব মিলিয়ে দেশ জুড়ে মোদির প্রধান বিরোধী মুখ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জী।