বাহক নিউজ় ব্যুরো: ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে বইতে দেখা গেল উল্টো নদী। রাজ্য সরকারের কর্মসূচি যাতে ভালোভাবে সম্পন্ন হয়, সেই জন্যে এই কর্মসূচিতে যোগদান করেছেন বিজেপি নেত্রী। এই ধরণের ঘটনা প্রথমবার ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও এদিকে, বিজেপি নেত্রী স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, দুর্নীতি আটকানোর জন্যই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এই বিতর্কিত পদক্ষেপ নেওয়া বিজেপি নেত্রীর নাম জয়া দাস নায়েক। ব্যাপারটি ঘটেছে তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলে। এই স্কুলে ১৩ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। যথারীতি, উল্লিখিত এলাকার বাসিন্দারা আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন। এরই মাঝে ওই স্কুলে সাহায্য করার জন্য উপস্থিত হন বিজেপি নেত্রী জয়া দাস নায়েক।
তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হল যে, তিনি কেন বিরোধী দলের নেত্রী হয়ে রাজ্য সরকারের কর্মসূচিতে যোগদান করেছেন, তিনি জানালেন, “মূলত লক্ষী ভাণ্ডারের কাজ করার জন্যই এসেছি। এছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী, রেশন কার্ড ডিজিটালাইজ়েশন, সংশোধনের কাজেও অংশগ্রহণ করেছি। যেখানে সরকারটা সবার এবং সাধারণ মানুষ যে প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, সেখানে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই, আমার ওয়ার্ডে যাতে কেউ এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন এবং পরিষেবা পেয়ে সবাই উপকৃত হন, সেই চেষ্টাই করছি”।
উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপি নেত্রী জয়া দাস নায়েক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে, তিনি তমলুক পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরও। এরই মাঝে, তিনি ওই স্কুলে পৌঁছান আবেদনকারীদের সাহায্যের জন্য, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।