বাহক নিউজ় ব্যুরো : পরিকল্পনা মাফিক আজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির সফর শুরু হল ত্রিপুরায়। তাঁর সফর, দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়াস যে মোটেই সহজ হবে না, তা প্রথমেই স্পষ্ট হয়ে গেল। অভিষেকের গাড়িতে পড়ল লাঠি। তৃণমূলের অভিযোগ, আরও বেশ কিছু জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় আজ সকালে, যখন অভিষেকের গাড়ি রওনা হয় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের পথে। তখনই শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ। রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকেন বাঁশ বা লাঠি নিয়ে। বিজেপির পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে স্লোগান ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। দেখানো হয় কালো পতাকাও। এই রাস্তা দিয়েই যাওয়ার সময় অভিষেকের গাড়ির কাচে বারবার আঘাত করা হয়। যে ভিডিও তিনি নিজে তাঁর টুইটার একাউন্টে আপলোড করেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির উইন্ডস্ক্রীনের বেশ কিছুটা জায়গায় ফাটল ধরেছে। সেই নিয়েই ক্ষুব্ধ তৃণমূল সমর্থকরা।
এর আগে সকালেই অবশ্য সূচনা হয় ঝামেলার।আজ দলের সাধারন সম্পাদকের অভার জন্য তাঁরা বেশ কিছু জায়গায় ফ্লেক্স ও ব্যানার টাঙিয়েছিলেন, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের দাবী আজ সকালে সেই ফ্লেক্স ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। নতুন করে কিছু পতাকা লাগাতে গেলেই বিজেপি সমর্থকদের সাথে বচসা শুরু হয় দলের হয়ে সফরে যাওয়া দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহাদের সাথে। দেবাংশু নিজেও পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে গলা ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের গলায় ভিন্ন সুর। তাঁদের কথায়, “আসলে যারা আক্রমণ করেছে, তারা তৃণমূলেরই কর্মী। ওদেরই ঝামেলা করর সংস্কৃতি, আমাদের নয়।” তবে কেউ কেউ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলছেন।
ইতিমধ্যেই অভিষেক ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দিরে পৌঁছে গেছেন। সভায় তিনি এই ঘটনাগুলির উল্লেখ করে বলেন, “ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ এর বিচার করুক।”
সব মিলিয়ে ত্রিপুরায় ঘাস-পদ্মের লড়াই মারাত্মক হতে চলেছে।