বাহক নিউজ় ব্যুরো :আগে কোনোদিন আলিমুদ্দিনে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়নি। আজ প্রথমবার জাতীয় পতাকা তোলা হবে আলিমুদ্দিনে। তবে জেলা থেকে শুরু করে শাখা সিপিআইএমের বহু পার্টি অফিসে আগেই উড়েছে জাতীয় পতাকা।
সত্তরের দশকে বামপন্থী নেতাদের মুখে শোনা যেত, ‘ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যায়/লাখো ইনসান ভুখা হ্যায়’। বামপন্থীরা মনে করত বিদেশীদের থেকে স্বদেশীদের কাছে ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে মাত্র, দেশ সেই একই জায়গায় থেমে রয়েছে। একসময় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই স্লোগান। রাজ্য কমিটি থেকে জেলা বা এরিয়া কমিটি গুলোকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে জাতীয় পতাকা তুলতেই হবে। তা সত্ত্বেও সিপিআইএমের বহু পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা বহুবার তোলা হয়েছে। এমনকি প্রতি বছর ১৫ই অগষ্টে ছাত্র-যুব’র রাজ্য অফিসে জাতীয় পতাকা তোলা হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে দেশে ও রাজ্যের রাজনীতি বদলেছে। বিজেপি ও আরএসএস দেশাত্ববোধকে ভিত্তি করে বেড়ে উঠেছে। অন্যদিকে জাতীয় পতাকা তোলার বাধ্যবাধকতা না থাকায় সিপিআইএমকে প্রায়শই দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। রাজ্যের মানুষের মন বুঝে সেন্ট্রাল কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে বঙ্গ CPIM-এর পক্ষ থেকে তাই পতাকা উত্তলনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে সেন্ট্রাল কমিটি মান্যতা দেয়। ফলে মুজফফর আহমেদ ভবন সহ রাজ্যের সমস্ত পার্টি অফিসে পতাকা উত্তোলন করার বাধ্যবাধকতা হয়েছে।
মূলত বিজেপির জাতীয়তাবাদের বিপরীতে পাল্টা জাতীয়তাবাদের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত, আরএসএসের হেড কোয়ার্টার নাগপুরে ১৯৫০ সালের ৫২ বছর পর জাতীয় পতাকা তোলা হয়েছিল। সিপিআইএম ভবিষ্যতে কতটা জাতীয়তাবাদী পথ অবলম্বন করে সেটা সময়ই বলবে।