বাহক নিউজ ব্যুরো : প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রয়াত সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্র দ্বিতীয়বারের জন্য তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন। কলকাতার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংসদ মালা রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরছেন সোমেন জায়া, শিখা।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে শিখা চৌরঙ্গি কেন্দ্রে দাঁড়াতে অস্বীকার করেন শিখা মিত্র। বিজেপির-র প্রস্তাব প্রত্যাহার প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই সোমেন পুত্র জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই দিন শিখা মিত্রকে ফোন করে প্রস্তাব ফেরানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। এমনকী কুনাল ঘোষ নিজে বাড়ি এসে কথাও বলেছিলেন। বিজেপির টিকিট প্রত্যাখান সত্ত্বেও রাজ্যের প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে পুত্র রোহন জানান-‘এরা শুধু আমার বাবাকে ব্যবহার করে গেল।অধীর চৌধুরীর জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন সোমেন মিত্র। আমার বাবার কারণেই পরিচিতি পেয়েছেন মান্নান। তাদের এই অবহেলা বলার যোগ্য নয়। তাঁরা মায়ের সঙ্গে যে আচরণ করলেন তা ক্ষমার অযোগ্য।”
ক্ষমতায় এসে শিখাকে ফোন করে তাঁর সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কী রাজনীতিতে ফের সক্রিয় ভূমিকায় ফিরছেন শিখা। তবে এই ধরনের জল্পনায় রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সোমেন পুত্র রোহন মিত্র। তাঁর মতে, তৃণমূলে যোগদানের কোনও কথাই তাঁর মায়ের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর হয়নি। যদিও সমস্ত জল্পনাকে সত্যি করে কার্যত দলে ফিরছেন শিলহা মিত্র। যদিও আজকের ঘটনাকে প্রত্যাবর্তন হিসেবে মানতে নারাজ তিনি; তাঁর বক্তব্য তৃণমূল ছাড়ার পর অন্য কোনো দলে যুক্ত হননি তিনি, তাই নতুন করে ফিরে আসার কোনো প্রসঙ্গই আসে না।
মমতা-শিখার নৈকট্যের যোগসুত্র হয়ে দাঁড়ান সাংসদ মালা। তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দিয়ে আসেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়। তৃণমূলে যোগদানের ব্যাপারে সম্মতি দেন সোমেন জায়া শিখা। পুত্র রোহন তৃণমূলে যোগদান করবেন কী না সেই নিয়েই চলছে জোর জল্পনা। তবে তাঁর তরফ থেকে এইসব গুঞ্জনের প্রতিক্রিয়া তিনি দেননি৷