‘চড়াম চড়াম’ ঢাকের আওয়াজ’ই হোক বা ‘গুড় বাতাসা’,’পাঁচন’ অথবা ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’ সবেতেই হিট অনুব্রত মণ্ডল। প্রতিবার ভোটের আগের দিন বা ভোটের দিন তাকে নজরবন্দি করে রাখতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। তবুও অনুব্রত ওরফে কেষ্টদার মতো জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ক’জন আছে তা হাতে গুণে বলে দেওয়া যায়। সহজ, সরল মনের অথচ দাপুটে কেষ্টদা বীরভূম তথা রাজ্যের তৃণমূল কর্মীদের কাছে তো জনপ্রিয় ছিলেনই, এবার বাংলা ছাড়িয়ে ত্রিপুরাতেও পৌছে গিয়েছে কেষ্টদার জনপ্রিয়তা। আগামী ২৩শের নির্বাচনে ত্রিপুরা তৃণমূল তাদের কেষ্টদাকে প্রচারে চাইছে।

একুশে রাজ্য বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে হারানোর পর, লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কড়া টক্কর দিতে দেশজুড়ে সংগঠন গড়ার কাজে মন দিয়েছে তৃণমূল। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী বিজেপি বিরোধী জোটেরও ডাক দিয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরাতে ভালো ফল করলে লোকসভার লড়াইতে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে তৃণমূল। তাই ত্রিপুরায় দলের সংগঠন মজবুত করতে চাইছে তারা। ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছে তাদের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের ময়দানে ‘কেষ্টদা’ তাদের সাথে থাকুক।

ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি আশিসলাল সিং জানিয়েছেন, ত্রিপুরাতেও অনুব্রত মণ্ডল একইরকম জনপ্রিয়।তাই ভোটের প্রচারে অনুব্রতর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চান তাঁরা। ২০১৮ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই অনুব্রতকে নিয়ে সেখানকার মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখেছিল ত্রিপুরা তৃণমূল। আশীষলাল সিং জানান, “অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য রাখার ধরন বহু মানুষকে একটানা বসিয়ে রাখতে পারে। মাত্র কয়েকদিন প্রচারে গিয়েই নিজস্ব ‘ফ্যানবেস’ তৈরি করেছেন অনুব্রত। অনেকেই খোঁজ নেন ‘কেষ্টদা কেমন আছেন?’, ‘একবার কেষ্টদার সঙ্গে আলাপ করতে চাই।’ অনেকে এরকম আবদারও করেন।”

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

 

শুভময় মল্লিক