বাহক নিউজ় ব্যুরো: রানার্স হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল ক্লিভল্যান্ড ওপেন থেকে। ফাইনালে পৌঁছালেও মনে আক্ষেপ নিয়ে ভারাক্রান্ত হয়েই রানার হয়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জাকে। কিন্তু, সেই আক্ষেপকেই হাতিয়ার করে এবার তাঁর একুশের প্রথম ট্রফি আনলেন তিনি। উল্লেখ্য, অস্ত্রাভা ওপেনে সালের প্রথম ট্রফি শুই ঝ্যাং-কে সঙ্গী করে পেলেন তিনি।
এইদিন তিনি ডব্লিউটিএ-৫০০ –এর ফাইনালেতে এই ইন্দো-চিন জুটির বিপরীতে ছিলেন মার্কিন-নিউজিল্যান্ড জুটি। টেনিসের ময়দানে দুই জুটির যুদ্ধ চলেছিল ১ ঘণ্টা ৪ মিনিট ধরে। বিপক্ষের ওই জুটিতে আমেরিকা ও নিউজিল্যান্ডের তরফে ছিলেন যথাক্রমে ক্যাটলিন ক্রিশ্চিয়ান ও এরিন রাউটলিফ। বিপক্ষের এই জুটিকে সানিয়া ও ঝ্যাং-এর জুটি যথাক্রমে ৬-৩ ও ৬-২-এ পরাজিত করেন।
এই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রে। ‘মা’ হওয়ার পরে ধাপে ধাপে সেমি ফাইনাল পেরিয়ে ফাইনালে এসে চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিঃসন্দেহে সানিয়া মির্জার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, আবারও পুরনো ফর্মে ফিরে এই ওপেনের সেমিফাইনালে ভারত-চীনের জুটি পরাজিত করেছিলেন জাপানের জুটিকে। বিপরীতে থাকা দুজনেই জাপানের বাসিন্দা। সেমিফাইনালে জাপানের তরফে যারা ছিলেন তাঁরা হলেন এরি হজুমি এবং মোকাতো নিনোমিয়া।
মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার পরে বছরের প্রথম ট্রফি জিতে এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, “আপনি যখন সন্তানের জননী হন, সেই সন্তানকে জন্ম দিয়ে গিয়ে এবং লালন-পালন করতে গিয়ে আপনার শরীর কঠিন থেকে কঠিনতম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায়। আপনি যখন এই পরিস্থিতি নিজেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন, তখন আপনি আপনার নিজের শরীরের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত থাকেন না। আপনি জানেন না যে, আপনি শরীর ঠিক ধরণের জবাব দেবে”।