বাহক নিউজ় ব্যুরো: দু বছর সম্পন্ন হল চন্দ্রযান ২ এর, তবে এই মহাকাশযানের ল্যান্ডার রোভারের চাঁদের মাটিতে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং ভেঙে দেয় ১৩০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষ থেকেই মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণায় এক দারুণ সম্ভাবনার ইঙ্গিত পেতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো।
ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যান্ড রিসার্চ অর্গানাইজেশনের প্রধান কে সিবন এইদিন জানান , চাঁদের চারপাশে ইতিমধ্যে ইসরোর মহাকাশযান চন্দ্রযান ২ নয় হাজার বার নিজের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করেছে। শুধু তাই নয় ক্র্যাশ ল্যান্ডিং এর ফলে এই ল্যান্ড রোভার ইসরোকে সহায়তা না করতে পারলেও চন্দ্রযান ২ কিন্তু তার কর্মে অবিচল। সে ইতিমধ্যে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে ।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে চন্দ্রযান ২ থেকে যে সমস্ত বিজ্ঞান বিষয়ক তথ্য আসতে শুরু করেছে তা বিভিন্ন গবেষণাগারে বিশ্লষণের জন্য পাঠানো হবে। ডিপার্টমেন্ট অব স্পেসের সচিব কে সিবন জানিয়েছেন , আপাতত চন্দ্রযান২ এর আটটি পে লোড কর্মরত, সেগুলোই চাঁদ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাঠাতে শুরু করেছে , যা ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হতে চলেছে।
এদিকে চন্দ্রযান২ এর পর চন্দ্রযান৩ কে নিয়ে রীতিমতো উৎসাহিত ইসরো। আবার এক নতুন স্বপ্ন সত্যি করার আশায় উঠে পড়ে লেগেছেন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান৩ সফল হলে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের একটা নতুন দিক খুলে যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। এদিকে চন্দ্রযান২ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ কিলোমিটার ওপরে গিয়ে তথ্য সরবরাহ করছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এই চন্দ্রযান২ আসলে একটি ল্যান্ডার, রোভার ও অরবিটারের সহযোগে তৈরী করা একটি যান। চাঁদের দক্ষিণপ্রান্তে কী ঘটছে তা নিয়ে ছিল এর গবেষণা। এর আগে চাঁদের মাটির সাথে ভারতের তামিলনাড়ুর নামাক্কালের মাটির মিল পেয়ে যাওয়ায় সেই নিয়ে গবেষণা চালানো হয় । তারপর ২০১৯ সালে ১৩০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্নকে সঙ্গী করে চাঁদে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান২। তার অবতরণ সফল না হলেও গত দুবছর সে যে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই তা বোঝাই যাচ্ছে। এদিকে করোনা পরিস্থিতির জন্য চন্দ্রযান৩ এর যাত্রা পিছিয়ে যায়, এরপর ২০২২ সালে ইসরো সেই সফরের উদ্যোগ নিতে চলেছে।