
Bahok News Bureau: বিজ্ঞানীরা মানব দেহের কোষ থেকে এমন একটি জীবন্ত রোবট তৈরি করেছেন যা কিনা জীবন্ত এবং নড়াচড়া করতে পারে! এ জীবন তো রোবটের নাম দেওয়া হয়েছে অ্যান্থ্রোবটস। তবে এখানেই বিস্ময়ের শেষ নয়, অদূর ভবিষ্যতে এটি মানবদেহেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন। তবে এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগে আফ্রিকান নখযুক্ত ব্যাঙের (বৈজ্ঞানিক নাম জেনোপাস লেভিস) ভ্রুণের স্টেম কোষ থেকে জীবন্ত রোবট বা জেনোবট তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদেরই কয়েকজন এবার জেনোবটের উপর ভিত্তি করে অ্যানথ্রোবট সৃষ্টি করলেন। (Anthrobots – Human Cells)

এই গবেষণাটি নিয়ে যাবতীয় লেখালেখি করেছেন মাইকেল লেভিন। তার সম্পূর্ণ গবেষণাটি অ্যাডভান্সড সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়। লেখক মাইকেল লেভিন মনে করেন যে এটি জীবন্ত জিনিসগুলোর মধ্যেই একটি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অ্যানথ্রোবটগুলো পূর্ণাঙ্গ জীব ছিল না। কারণ তাদের পূর্ণ জীবনচক্র ছিল না। এটি আমাদের ভাবায় যে এই ক্ষুদ্র শ্রেণি আসলে একটি রোবট, নাকি একটি প্রাণী, নাকি যন্ত্র? এগুলো থেকে আমরা খুব ভাল ধারণা পাই না। আমাদের এর বাইরে গিয়ে আরো বিস্তর গবেষণা করতে হবে।’
মানবদেহে অ্যান্থ্রোবটসের কাজ কী হবে?
আজ আমরা পৃথিবীতে যা কিছু ব্যবহার করছি সবকিছুই বিজ্ঞানের দান। রোজ বিজ্ঞান ক্রমশ যতই উন্নত হচ্ছে ততই বিস্মিত হচ্ছি আমরা। তবে এখানে যে আবিষ্কারটির কথা বলা হচ্ছে তা যদি সঠিকভাবে কার্যকরী হয় তাহলে মানবদেহের বর্তমান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রোগের কিনারা খুব সহজেই করা যাবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে এই জীবনটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে খুব সহজেই মানবদেহের যে কোন আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর নিরাময় খুব সহজেই করা যাবে।

অ্যান্থ্রোবটস কী? (What is Anthrobots?)
গবেষণাটির লেখক লেভিন বলেন, অ্যানথ্রোবটগুলো পূর্ণাঙ্গ জীব নয়। কারণ তাদের পূর্ণ জীবনচক্র ছিল না। তিনি বলেন,’এটি আমাদের ভাবায় যে এই ক্ষুদ্র শ্রেণি আসলে একটি রোবট, নাকি একটি প্রাণী, নাকি যন্ত্র? এগুলো থেকে আমরা খুব ভাল ধারণা পাই না। আমাদের এর বাইরে গিয়ে আরও বিস্তর গবেষণা করতে হবে।’
বিজ্ঞানীরা কীভাবে অ্যান্থ্রোবটস তৈরি করলেন? (How scientists have created Anthrobots?)
বিজ্ঞানীরা এই অ্যানথ্রোবট তৈরির জন্য বিভিন্ন বয়স (প্রাপ্তবয়স্ক) ও লিঙ্গের মানুষের শ্বাসনালী বা উইন্ডপাইপের কোষ ব্যবহার করেছেন। শ্বাসনালীর কোষগুলো সিলিয়া নামক লোমের মতো কিছু দ্বারা আবৃত থাকে, যা সামনে-পিছে নড়াচড়া করতে পারে। আগের গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, এসব কোষ আরো কোষগুচ্ছ গঠন করতে পারে।

রাসায়নিক সংমিশ্রণ ব্যবহার করে গুমুস্কায়া শ্বাসনালীর কোষের বৃদ্ধির ওপর পরীক্ষা চালান। তিনি সিলিয়াকে অর্গানয়েড থেকে বহির্মুখী করার একটি উপায় খুঁজে পান। আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর কয়েকদিন পর কোষগুচ্ছ নিজে থেকে নড়াচড়া করতে শুরু করে। গবেষণাটির সহলেখক গুমুস্কায়া বলেন, প্রথম পাঁচ দিন পর্যন্ত কিছুই ঘটেনি। সাত দিনের মাথায় একটি দ্রুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এটি দেখতে ছিল প্রস্ফুটিত ফুলের মতো।
গবেষক লেভিন বলেন, প্রতিটি অ্যানথ্রোবটের (Anthrobots – Human Cells) নিজে নিজে একসাথে জড়ো হওয়ার দৃশ্য তাদের অনন্য করে তোলে। গিজাম গুমুস্কায়া বলেন, “কোভিড-১৯ ও ফুসফুসের রোগ নিয়ে কাজ করার কারণে এই ধরনের কোষের ওপর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করাটা গবেষকদের জন্য তুলনামূলক সহজ ছিল।” আরো গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হলো এসব কোষের একটি বৈশিষ্ট্য, যা কোষগুলোকে গতিশীল করতে পারে বলে বিজ্ঞানী
Table of Contents
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।