বাহক নিউজ় ব্যুরো: দুর্গাপুজোর পর থেকেই করোনার গ্রাফ উদ্ধমুখি বাংলায়। তাই গতবারের মত এবারেও আলোর মালায় সাজলেও এবছরেও জৌলুসহীন থাকছে মধ্যমগ্রামের শ্যামাপুজো। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় সাধারন দর্শনার্থীদের গন্তব্য কোলকাতা হলেও শ্যামা পুজোয় বারাবরই সেই তালিকায় জায়গা করে নেয় বারাসত আর মধ্যমগ্রাম।
করোনার বাড়বাড়ন্ত হলেও প্রস্তুতিতে খামতি রাখছে না মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন শ্যামাপুজো কমিটি গুলি। হাতে গোনা বাকি আর মাত্র কটা দিন তাই শেষ মুর্হুতে প্রস্তুতিতে চলছে মন্ডপে মন্ডপে।

২৯ তম বর্ষে মধ্যমগ্রাম সুভাষ পল্লির এবারের ভাবনা “ এবার নয় থিম সাবেকিতে মা“.কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সাধারন দর্শনাথীরা যাতে দূরত্ব বিধি মেনেই প্রতিমা দর্শন করতে পারেন সে দিকেই নজর রাখছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। তাই প্যান্ডেলের বাইরে থেকে এবার প্রতিমা দর্শন করতে হবে সাধারন দর্শনাথীদের. যারা পুজোতে অংশগ্রহন করবে তাদেরও থাকতে হবে জোড়া টিকার সংশাপত্র. প্রত্যেকের মুখে থাকতে হবে মাস্ক এই বিধি নিষেধ পালন করতে হবে সবাইকে এমনটাই জানালেন পুজো কমিটি র সদস্য লাল্টু।

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount


প্রতিবারের মতন সাধারন মানুষের প্রত্যাশা থাকলেও এবারে থিমের কোনো জৌলুসই থাকছে না মধ্যমগ্রাম সুভাস পল্লির পুজোয় ফলে মাতৃ প্রতিমা দর্শন করে কিছুটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হবে সাধারন দর্শকদের।

এবারে ৪৭ তম বর্ষে পরছে রবীন্দ্রপল্লি আ্যাথেলেটিক ক্লাবের পুজো.পুরনো রাজ বাড়ির আদলে তৈরি হচ্ছে এবারের মন্ডপ. বাড়তি আকর্ষন হিসাবে সাবেকি আনা প্রতিমাতে ভর করতে চাইছে পুজো উদোক্তারা. সরকারি নিয়ম মেনেই উপযুক্ত কোভিড বিধি মেনেই কালিপুজোর দিন থেকে সাধারন দর্শনার্থীদের জন্য প্যান্ডেল খুলে দেওয়া হবে জানালেন পুজো উদ্যগতারা.দর্শনার্থীদের জন্য উপযুক্ত মাস্ক, স্যানেটাইজারের ব্যাবস্থা .

করোনা কেড়ে নিয়েছে বহুপ্রান. বাবা মা এমকি প্রিয়জনদেরও চিরতরে হারিয়ে ফেলেছে ওরা। স্কুলের ঘন্টা,টিফিন ভাগ করা ,প্রাইভেট টিউসনের ঘনঘটা এই সবই যেন চলে গেছে ওদের জীবন থেকে।তাই শিশুরাও পেতে চায় প্রকৃত মুক্তির আনন্দ। তাই বদ্ধ ঘর থেকে ওদের মুক্তি দেওয়ার জন্য চন্ডীগড় ইউনাইটেড আ্যাথেলেটিক ক্লাবের এবারের ভাবনা “থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে“। করোনার বিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে তাই প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না সাধারন দর্শনার্থীদের। তাই বাইরে থেকেই শিশুদের নিয়ে অভিভাবকেরা দর্শন করতে পারেন প্যান্ডেল।

বাহারের খেলনা,ঝলমলে আলো,বিভিন্ন কার্টুনের দৃশ্যই কার্যত ধরা পরবে সারা প্যান্ডেল জুড়ে।বদ্ধ ঘরে থাকলেও চন্ডীগরের প্যান্ডেলে এসে শিশুরা পেতে পারে প্রকৃত মুক্তির আনন্দ।

তথ্য সংগ্রহে : তথাগত