বাহক নিউজ ব্যুরো: একসময়ের বি এস এফ জওয়ান বিনোদ কুমারের জীবনটা খুব একটা সহজ নয়। কর্মক্ষেত্রে একদিন পাহাড়ে উঠে নামতে গিয়ে পড়ে যান এবং দুটো পা-ই অকেজো হয়ে যায়, ভেঙে যায় পাঁজর। চার বছর শয্যাশয়ী ছিলেন তিনি। নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও দীপা মালিককে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে মাঠে ফেরেন তিনি, ডিসকাসই তাঁর ভালোবাসা। এই কঠিন সময়ে নিজের বাবা-মা কেও হারান তিনি।
এই মানুষটিই যখন টোকিও প্যারাঅলিম্পিকে পদক জিতলেন, ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে খুশির বন্যা বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ডিসকাসে পদক পাওয়ার পর বিপক্ষের এক অ্যাথলিট অভিযোগ করেছেন, বিনোদের যে শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা এই ইভেন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, তাই তার পদক কেড়ে নেওয়া উচিত। বিশ্ব প্যারাঅলিম্পিক কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে আজ তার সিদ্ধান্ত জানাবে। ততক্ষণ অবধি বিনোদের নামের পাশে যে ব্রোঞ্জ পদক লেখা হয়েছিল তা লেখা যাবেনা।
এই ঘটনায় ভারতীয় ক্রীড়াকর্তারা যারপরনাই ক্ষুব্ধ। কর্তা গুরশরণ সিংহ বলেন “আমরা শুনেছি প্রতিপক্ষ দেশের বিরোধিতার কারণে বিনোদের ব্রোঞ্জ জয় আটকে গেছে। তবে প্যারাঅলিম্পিকস শুরু হওয়ার আগেই ওর শারীরিক পরীক্ষা হয়ে গেছে, তাই এই ধরণের বিভ্রান্তির কোনো জায়গাই নেই।”
হরিয়ানার ৪২ বছর বয়সী প্যারাঅ্যাথলিট এদিন ১৯.৯১ মিটার ছুঁড়ে ভারতকে ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছেন। যদিও বিপক্ষ এক প্রতিযোগীর অভিযোগ এই পদক তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে পেয়েছেন। কারণ এই ইভেন্টে যে শারীরিক অক্ষমতা থাকার কথা, তার থেকে অনেক ভালো অবস্থায় ইভেন্টে নেমেছিলেন বিনোদ।