বাহক নিউজ ব্যুরো :একের পর এক ইস্যুতে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস কার্যত কুরুক্ষেত্র।ঘটনার সূত্রপাত তিন পড়ুয়া ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং রুপা চক্রবর্তীকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করাকে কেন্দ্র করে। গত সপ্তাহের সোমবার তিন জন ছাত্রছাত্রীকে বিশ্বভারতী থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্থনীতি বিভাগের তালা ভেঙেছেন এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

এর পরেই শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর মূল সেন্ট্রাল অফিস ঘেরাও বিক্ষোভ দেখান।শুক্রবার রাতেই ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যের বাসস্থানের সামনে সারা রাত অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন । অভিনব বিক্ষোভে শুরু হয় রবীন্দ্র গান-কবিতা। শনিবার সকালে ছাত্রছাত্রীদের সমর্থনে হাজির হন অধ্যাপকদের সংগঠন ‘ভিবিউফা’। তাঁরাও ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তুলোধনা করেন। শুক্রবার রাত থেকে নিজের বাসভবনে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে উপাচার্য’কে। পড়ুয়াদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত উপাচার্য সিদ্ধান্ত বদল করছেন, তাঁদের এই আন্দোলন চলবে।

Advertisements
Appy Family Salon AD Banner Use Code to get Discount

(সোমবার)সকালে এই দীর্ঘ বিক্ষোভের মাঝেই গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। এত কিছু সত্ত্বেও উপাচার্য কেন নিশ্চুপ, কেন উপাচার্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন না, তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। উপাচার্যের আচরণের প্রতিবাদে সোমবার মিছিল শেষে তাঁর বাসভবনের সামনে একটি ব্যানার টাঙাতে যাওয়া হয় তাতেই বাধা দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। দু’পক্ষের বচসায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপাচার্যের বাসভবন চত্বর।
এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফে আপাতত ভরতি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, উপাচার্য অ্যাডমিশন কমিটির চেয়ারম্যান। তাই তিনি অফিসে না আসার কারণে ছাত্রছাত্রীদের ভরতি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিশৃঙ্খলা’কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির তীর তৃণমূলের দিকেই। শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনেই নাকি এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশ্বভারতীর এই অশান্তির নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।