বাহক নিউজ় ব্যুরো: পুজোর আর বেশিদিন বাকি নেই।।এই করোনা পরিস্থিতিতেও ধীরে ধীরে পূজোর সাজে সেজে উঠছে ক্লাবগুলো। ২০১৯ সালে প্রত্যেকটি ক্লাবকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। গত বছর কোভিডের কারণে তা দ্বিগুণ করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন ক্লাবগুলো সমস্যায় পড়েছে বলে রাজ্য সরকার একটু বেশি সাহায্য করছে।
এবারও ক্লাবগুলোকে একই অঙ্কের টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নেতাজি ইনডোরে পুজো কমিটিগুলির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছানোর আগেই এই ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। আদর্শ আচরণবিধির কারণে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করতে পারবেন না বলেই মুখ্যসচিব এই ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন। মুখ্যসচিব বলেন ” গত বছর অনেক পুজো কমিটি কোভিডের কারণে স্পনসর পায়নি। এবছরও কোভিড চলছে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেটাই আমি পড়ে শোনাচ্ছি। গতবছরে যেসব সুযোগ সুবিধা। দেওয়া হয়েছিল এবারেও সেগুলো বজায় থাকছে। প্রতি পুজো কমিটিকে সরকার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পুজো করতে যে লাইসেন্স লাগে, যেমন দমকল, বিদ্যুতের ফি এসব লাগবে না। বিদ্যুতের বিলে পঞ্চাশ শতাংশ মুকুব করা হল। স্কুল কলেজ খোলার বিষয়টি অবশ্যই পুজোর পরে ভাবা হবে।”
তবে নবান্নের কর্মকর্তাদের কথাতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সরকারের লক্ষীর ভান্ডার স্বাস্থ্যকর জায়গায় নেই। বাজেটেও কোপ পড়েছে এবার। কয়েকমাস আগেই অর্থমন্ত্রক সমস্ত দফতরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল অযথা খরচ করা যাবেনা। তবে এদিনের এই ঘোষণায় বিরোধীদের মন্তব্য আরো একবার খয়রাতিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করলো রাজ্য সরকার। এদিন মুখ্যসচিবের এই ঘোষণার পর মঞ্চে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে তিনি বিসর্জনের দিন ক্ষণ ও কার্ণিভাল নিয়ে বিভিন্ন ঘোষণা করেন।