
Table of Contents
Bahok News Bureau: রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। এই মামলায় এবার প্রতিক্রিয়া দিলো আদালত।
সুকান্ত মজুমদার কি বলেছিলেন? (Sukanta Majumder’s comment)
তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ (CSC) বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রায় ৪০ হাজার ‘সিএসসি’ বন্ধ করা হয়েছে। পরিবর্তে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ নামে একটি ব্যবস্থা চালু করেছে নবান্ন। তিনি দাবি করেন, ওই কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রায় দেড় লক্ষ ছেলে ছেলে মেয়ে কাজ হারিয়েছেন। প্রায় ২০০টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া জন্য সাধারণ মানুষকে সাহায্য করত ওই সিএসসিগুলি। ২০২০ সালে ওই কেন্দ্রগুলি তুলে দেয় রাজ্য সরকার। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, যাতে আবার কেন্দ্রগুলি চালু করা হয়।
আদালত কি জানালো?
সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) করা সেই জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেছিল আদালত। হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল, কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্যকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন,’রাজ্য যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করেছে আদালতের কাছে তার কাজ স্পষ্ট নয়।’ হলফনামাতে সেই বিষয়ও স্পষ্ট করার নির্দেশ দেয় আদালত। গত সেপ্টেম্বরে হলফনামা চেয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পূর্ব নির্দেশ মতো রাজ্য আদালতে হলফনামা জমা দেয়নি। রাজ্যকে শেষ বার সুযোগ দেওয়া হল। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা না দিলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। ওই টাকা রাজ্য ‘লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি’তে (Legal Services Authority) জমা দেওয়ার পরেই আদালত হলফনামা গ্রহণ করবে। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে নবান্নকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধায় বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন?
রাজ্য আইনজীবীর বক্তব্য
আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পও চলছে। আগামী ১৯শে ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
পড়ুন: বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
পড়ুন: বাহক শারদীয়া সংখ্যা / পুজো ম্যাগাজিন ১৪২৯
PDF টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন – বাহক ঈদ সংখ্যা ২০২৩
ঈদ সংখ্যা কেমন লাগলো, ফেসবুক পেজ ছাড়াও নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আপনার নাম দিয়ে মতামত দিতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের পূর্বে প্রকাশিত কিছু সংখ্যা সমূহের Pdf নিচে দেওয়া হল।